মোহামেডান-আবাহনী রোমাঞ্চকর ড্র

একদিকে যেন উড়ছিল আবাহনী লিমিটেড। আর উত্থান-পতনের মধ্যে ছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। কিন্তু মর্যাদার লড়াইয়ে ঠিকই জ্বলে উঠল তারা। টানা তিন জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে নামা আবাহনীকে রুখে দিয়েছে শন লেনের দল।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Jan 2021, 11:15 AM
Updated : 28 Jan 2021, 01:29 PM

কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার দুই দলের ম্যাচটি ২-২ ড্র হয়েছে। আবাহনীর দুই গোলদাতা ফ্রান্সিসকো রদ্রিগেজ দি সৌজা ফিলহো ও জুয়েল রানা। জোড়া গোল করেন মোহামেডানের সুলেমানে দিয়াবাতে।

চলতি লিগে এই প্রথম পয়েন্ট ভাগাভাগি করল আবাহনী। বাংলাদেশ পুলিশ এফসিকে হারিয়ে লিগে শুভসূচনা করা মারিও লেমোসের দল পরের দুই ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটির বিপক্ষে জিতেছিল।

লিগে এটি মোহামেডানের দ্বিতীয় ড্র। আরামবাগ ক্রীড়া সংঘকে হারিয়ে লিগ শুরুর পরের ম্যাচে সাইফ স্পোর্টিংয়ের কাছে হেরেছিল তারা। নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে ড্র করে লেনের দল।

লিগের ২০১৭-১৮ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী এগিয়ে যেতে পারত পঞ্চম মিনিটে। সতীর্থের ক্রসে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ফিলহো ভালো অবস্থানে থেকেও মাথা ছোঁয়াতে পারেননি।

চতুর্দশ মিনিটে আফগানিস্তানের ডিফেন্ডার মাসিহ সাইঘানির ফ্রি কিকে কেরভেন্স ফিলস বেলফোর্ট হেড পাস বাড়ানোর পর হেডেই জাল খুঁজে নেন ফিলহো। এগিয়ে যায় আবাহনী।

তিন মিনিট পরই পাল্টা জবাব দিয়ে সমতায় ফেরে মোহামেডান। জাফর ইকবালের ক্রস এক ডিফেন্ডারের ফেরানোর পর পেয়ে যান আবিওলা নুরাত। নাইজেরিয়ার এই ফরোয়ার্ডের পাস আমির হাকিম বাপ্পীর পা হয়ে যায় গোলমুখে থাকা দিয়াবাতের কাছে; নিখুঁত ফ্লিকে লক্ষ্যভেদ করেন মালির এই স্ট্রাইকার।

২২তম মিনিটে জুয়েলের ক্রস প্রথম দফায় হাত ফসকে বেরিয়ে যাওয়ার পর গোললাইনের একটু উপর থেকে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় মুঠোয় নেন মোহামেডান গোলরক্ষক আহসান হাবিব বিপু। ২৭তম মিনিটে হাবিবুর রহমান সোহাগের ফ্রি কিক ফেরান আবাহনী গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেল।

৩৩তম মিনিটে সাদউদ্দিনের লম্বা ফ্রি কিক বেলফোর্ট হেড করে নামিয়ে দেওয়ার পর ফিলহোর শট কৌলিদিয়াতির গায়ে লেগে ফিরে। বল চলে যায় বাঁ দিকে থাকা জুয়েলের পায়ে। নিখুঁত কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই ফরোয়ার্ড। ফেডারেশন কাপের গ্রুপ পর্বে আগের দেখায় মোহামেডানকে ৩-০ ব্যবধানে গুঁড়িয়ে দেওয়া ম্যাচেও জোড়া গোল করেছিলেন জুয়েল।

৩৬তম মিনিটে জুয়েলের শট জালে জড়ালেও অফসাইডের কারণে গোল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বাঁ প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকেও ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি তিনি।

দ্বিতীয়ার্ধে আবাহনীকে চেপে ধরে মোহামেডান। দলটির সমতায় ফেরার ভালো সুযোগ নষ্ট হয় ৫১তম মিনিটে। ডি-বক্সের একটু উপর থেকে দিয়াবাতের জোরালো শট শহীদুল ফেরানোর পর নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড নুরাতের ফিরতি শট ক্রসবারের উপর দিয়ে উড়ে যায়।

৬৬তম মিনিটে সমতায় ফিরে ম্যাচ জমিয়ে তোলে মোহামেডান। সোহাগের গড়ানো কর্নারে নুরাতের ব্যাকহিল ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে ফেরার পর আলতো চিপে বল তুলে দেন উরু নাগাতা। তাতে দিয়াবাতের ব্যাক ভলি চোখের পলকে জালে জড়ায়।

৭৮তম মিনিটে জাপানি মিডফিল্ডার নাগাতার দূরপাল্লার শট ক্রসবারের একটু উপর দিয়ে যায়। বাকিটা সময়ে কোনো পক্ষই পায়নি জয়সূচক গোলের দেখা।

চার ম্যাচে আবাহনীর পয়েন্ট ১০, মোহামেডানের পয়েন্ট ৫।