সেভিয়ায় রোববার নির্ধারিত সময়ে দুইবার দলকে এগিয়ে নিয়েছিলেন গ্রিজমান, দুইবারই সমতা টেনে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে নেয় বিলবাও। সেখানে ৩-২ ব্যবধানে জিতে করে শিরোপা উৎসব।
এছাড়া অফসাইডের কারণে তারা একটি গোল পায়নি। অতিরিক্ত সময়ে দুবার তারা হারায় গোলের নিশ্চিত সুযোগ। আর এগুলোই বলে দেয় বার্সেলোনার রক্ষণের দুর্বলতা। ম্যাচ শেষে মুভিস্টারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যা লুকাননি গ্রিজমান।
“আমি ক্ষুব্ধ, বিরক্ত ও হতাশ। ফাইনাল হারের পর সব ধরনের খারাপ জেঁকে বসে।”
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বারবার বড় ম্যাচে ভুগতে দেখা যাচ্ছে বার্সেলোনাকে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পরপর দুই আসরে রোমা ও লিভারপুলের বিপক্ষে হেরে অপ্রত্যাশিত বিদায়ে কর্নার থেকে গোল খেয়েছিল দলটি।
বিলবাও যে সহজ কোনো প্রতিপক্ষ নয়, তা সেমি-ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে জানান দিয়েছিল তারা। গ্রিজমানরাও জানতেন তা। কৌশলগত ভুলের মাশুল দিতে হয়েছে বলে মনে করেন ফরাসি এই ফরোয়ার্ড।
“আমরা জানতাম মার্সেলিনোর দল চাপ তৈরি করে এবং তারা ভালো খেলে। তবে আমরা কৌশলগত অনেক ভুল করেছি।”
“আমরা বাজেভাবে রক্ষণ সামলেছি এবং সেট পিসের সময় নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ ভালো ছিল না; বল বিপদমুক্ত করা কিংবা চাপ বাড়ানোর সময় কাউকে চিৎকার করে দিক নির্দেশনা দিতে হয়, এই ধরনের ছোট ছোট বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ।”
বিলবাও প্রথমে সমতায় ফেরে অস্কার দে মার্কোসের গোলে। পরে ৯০তম মিনিটে আসিয়েরের লক্ষ্যভেদে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়। সেখানে ব্যবধান গড়ে দেন ইনাকি উইলিয়ামস।