চট্টগ্রাম আবাহনীকে উড়িয়ে ফাইনালে সাইফ

শুরুতেই চট্টগ্রাম আবাহনীকে চেপে ধরে গোল তুলে নিলেন এমানুয়েল আরিয়াচুকু। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান দ্বিগুণ করলেন ইকেচুকু কেনেথ। শেষ দিকে জালের দেখা পেলেন ইয়াসিন আরাফাত। ম্যাচ জুড়ে আক্রমণাত্মক ফুটবলের পসরা মেলে চট্টগ্রাম আবাহনীকে উড়িয়ে দিল সাইফ স্পোর্টিং। দাপুটে জয়ে প্রথমবারের মতো উঠল ফেডারেশন কাপের ফাইনালের মঞ্চে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Jan 2021, 12:07 PM
Updated : 6 Jan 2021, 02:03 PM

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বুধবার প্রথম সেমি-ফাইনালে ৩-০ গোলে জিতেছে পল জোসেফ পুটের দল। ফাইনালে তারা মুখোমুখি হবে বৃহস্পতিবার হতে যাওয়া দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে বসুন্ধরা কিংস-আবাহনীর মধ্যকার জয়ী দলের বিপক্ষে।

অষ্টম মিনিটে এগিয়ে যায় সাইফ স্পোর্টিং। এই গোলে চট্টগ্রাম আবাহনীর অধিনায়ক চার্লস দিদিয়েরের দায় কম নয়। সিরোজুদ্দিন রাখমাতুল্লায়েভের ফ্রি কিক বিপদমুক্ত করার সুযোগ পেয়েছিলেন চট্টগ্রাম আবাহনীর এই মিডফিল্ডার, কিন্তু পারেননি। বল পেয়ে যান পাশেই থাকা এমানুয়েল; নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডার দূরূহ কোণ থেকে বাঁ পায়ের ভলিতে জাল খুঁজে নেন।

প্রতিপক্ষের রক্ষণে চাপ ধরে রেখে আট মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণের সুযোগ পায় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে কোয়ার্টার-ফাইনালে টাইব্রেকারে হারিয়ে আসা সাইফ স্পোর্টিং। নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড কেনেথের হেড ক্রসবারের উপরের কানায় লাগে।

২১তম মিনিটে ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা আরিফুর রহমান দুই ডিফেন্ডারকে কাটালেও শট নিতে পারেননি। ব্যাক পাস বাড়ান সিরোজুদ্দিনের উদ্দেশে। উজবেকিস্তানের এই ডিফেন্ডারের দূরপাল্লার শট বেরিয়ে যায় ক্রসবারের একটু উপর দিয়ে।

এমানুয়েল আরিয়াচুকুর গোলে শুরুতেই এগিয়ে যায় সাইফ স্পোটিং।

কিছুটা গুছিয়ে ওঠা চট্টগ্রাম আবাহনী প্রতিপক্ষের রক্ষণে চাপ দিলেও গোলরক্ষককে তেমন কোনো পরীক্ষা নিতে পারেনি। ২৯তম মিনিটে মোনায়েম খান রাজুর ক্রসে ডি-বক্সের ভেতর থেকে রাকিব হোসেনের শট ক্রসবারের উপর দিয়ে যায়।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট হয় সাইফ স্পোর্টিংয়ের। ডান দিক থেকে কেনেথের আড়াআড়ি ক্রসে স্লাইড করলেও বলে গতি থাকায় পা ছোঁয়াতে পারেননি আরিফুর।

৭১তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে সাইফ স্পোর্টিং। ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা আরিফুরের চিপ প্রথম ছোঁয়ায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডান পায়ের সাইড ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন কেনেথ।

একটু পর আল আমিনকে ফাউল করে দিদিয়ের দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলে ম্যাচ থেকে অনেকটা ছিটকে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী। খুঁড়িয়ে খুড়িয়ে মাঠ ছাড়া সাইফ স্পোর্টিংয়ের মিডফিল্ডার আল আমিনকে পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে নেওয়া হয় হাসপাতালে।

৭৯তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে রাকিবের শট ক্রসবারে লেগে ফিরলে সর্বশেষ ২০১৭ সালে ফাইনাল খেলা চট্টগ্রাম আবাহনীর হতাশা আরও বাড়ে। একটু পর সতীর্থের বাড়ানো বলে রাকিব গোলমুখ থেকে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন।

শেষ মুহূর্তে সতীর্থের বাড়ানো বলে ডান পায়ের বাঁকানো শটে ব্যবধান আরও বাড়ান আরাফাত। বড় হার নিশ্চিত হয়ে যায় মারুফুল হকের দলের।