প্রতিপক্ষের মাঠে সোমবার ১-০ ব্যবধানে হারে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। সাউথ্যাম্পটনের একমাত্র গোলটি করেন লিভারপুলের সাবেক ফরোয়ার্ড ড্যানি ইঙ্গস।
প্রিমিয়ার লিগে দলটির বিপক্ষে টানা ছয় জয়ের পর হারের তেতো স্বাদ পেল লিভারপুল।
গত রাউন্ডে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে গোলশূন্য এবং এর আগে ওয়েস্ট ব্রমউইচ অ্যালবিয়নের সঙ্গে ১-১ ড্র করেছিল ‘অল রেড’ নামে পরিচিত দলটি।
পঞ্চম মিনিটে প্রথম সুযোগ তৈরি করে সাউথ্যাম্পটনের বিপক্ষে আগের ছয় লিগ ম্যাচে ১৭ বার বল জালে পাঠানো লিভারপুল। ডান দিক থেকে মোহামেদ সালাহর পাস ডি-বক্সে খুঁজে পায় রবের্তো ফিরমিনোকে। বাইরে মেরে হতাশ করেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
একাদশ মিনিটে সমতায় ফিরতে পারতো সফরকারীরা। অ্যালেকজ্যান্ডার-আর্নল্ডের ক্রসে সাদিও মানের হেড ফেরান ডিফেন্ডার কাইল ওয়াকার-পিটার্স। ৩৪তম মিনিটে ডি-বক্সের সামনে থেকে উড়িয়ে মারেন সেনেগালের ফরোয়ার্ড মানে।
বিরতির আগে সুবর্ণ সুযোগ পান সালাহ। বাঁ দিক থেকে মানের ক্রসে ছয় গজ বক্সের সামনে থেকে মিশরের এই ফরোয়ার্ডের হেড উড়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। প্রথমার্ধে গোলের উদ্দেশে মোট ছয়টি শট নেওয়া লিভারপুল একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি।
৭৫তম মিনিটে লক্ষ্যে প্রথম শট নিতে পারে লিভারপুল; তবে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি, মানের শট সহজেই ধরে ফেলেন তিনি।
শেষ দিকে আরেকটি গোল খেতে বসেছিল ক্লপের দল। বল ক্লিয়ার করতে পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন আলিসন। তার পায়ের ফাঁক দিয়ে সাউথ্যাম্পটনের এক ডিফেন্ডারের নেওয়া শট গোললাইন থেকে ফেরান জর্ডান হেন্ডারসন।
আর যোগ করা সময়ে কর্নারে মানের হেড উড়ে গেলে আসরে দ্বিতীয়বারের মতো হারের হতাশায় মাঠ ছাড়তে হয় চ্যাম্পিয়নদের।
এই হারের পরও ১৭ ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই আছে লিভারপুল। এক ম্যাচ কম খেলে সমান পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
১৭ ম্যাচে আট জয় ও পাঁচ ড্রয়ে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থান উঠে এসেছে সাউথ্যাম্পটন।