লা লিগায় শনিবার ঘরের মাঠে জিদানের দলের প্রতিপক্ষ দারুণ ছন্দে থাকা সেল্তা ভিগো। আলফ্রেদো দি স্তেফানো স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত দুইটায়।
ম্যাচের আগের দিন শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে নতুন বছরে নিজের চাওয়ার কথা জানান জিদান।
“খেলাধুলার দিক দিয়ে নতুন বছরের জন্য চাওয়া, আমার কোনো খেলোয়াড় যেন চোটে না পড়ে। এরপর চাই মৌসুম শেষের শিরোপাগুলোর জন্য যেভাবে এগুচ্ছি সেভাবে যেন চালিয়ে যেতে পারি।”
গত বছরটা রিয়ালকে বেশ ভুগিয়েছে চোট। একটা সময়ে তো কোনো রাইট-ব্যাক পাচ্ছিল না দলটি। বাধ্য হয়ে ফরোয়ার্ড লুকাস ভাসকেসকে বেশ কিছু ম্যাচে সেই পজিশনে খেলান জিদান।
সবশেষ ম্যাচে গত বুধবার এলচের বিপক্ষে ১-১ ড্র করে জিদানের দল। লিগে টানা পাঁচ ও সব প্রতিযোগিতা মিলে টানা ছয় জয়ের পর পয়েন্ট হারায় গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
তাতে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা আতলেতিকো মাদ্রিদের সঙ্গে ব্যবধান বাড়ে রিয়ালের। তাদের চেয়ে দুই ম্যাচ কম খেলে ২ পয়েন্টে এগিয়ে আতলেতিকো। অনেকেই এবার শিরোপা দেখছেন দিয়েগো সিমেওনের এই দলটির হাতে। তবে জিদান মনে করেন, লিগ এখনো উন্মুক্তই রয়েছে।
“শীর্ষে থাকলে সুবিধা মেলে, এই ছাড়া কিছু নয়। আমরা আমাদের মতো চেষ্টা চালিয়ে যাব।”
বছরে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই অবশ্য কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে জিদানকে। সবশেষ দুই মৌসুমে বাজে পারফরম্যান্সের পর এবারের আসরের শুরুটাও বাজে হওয়ায় গত নভেম্বরে অস্কার গার্সিয়াকে ছাঁটাই করে এদুয়ার্দো কুদেত কৌদেতকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয় সেল্তা। এরপর থেকে দারুণ ছন্দে রয়েছে দলটি। আর্জেন্টাইন কোচ দায়িত্ব নেওয়ার পর লিগে ছয় ম্যাচের পাঁচটিতেই জিতেছে তারা, অন্যটি ড্র। এসময় ১৪ গোল করার বিপরীতে খেয়েছে মাত্র তিনটি।
জিদান তাই বেশ সতর্ক। সেল্তার বিপক্ষে জিততে হলে নিজেদের মেলে ধরার কোনো বিকল্প দেখছেন না ফরাসি কোচ।
“তাদের হারানোর নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই। জিততে হলে দারুণ একটা ম্যাচ খেলতে হবে। তারা খুব ভালো খেলে। শেষ সাত ম্যাচের ছয়টিতেই তারা জিতেছে। আমাদের জন্য তারা কাজটা কঠিন করে তুলবে। আমরা কেমন দল সেটা দেখানোর একটা সুযোগ এটি।”