বাফুফের বর্ষপঞ্জিতে প্রতিশ্রুতির ডালি

বছরের শেষ দিনে ঘটা করে সংবাদ সম্মেলন করে ২০২১ সালের বর্ষপঞ্জি দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। নিয়মিত প্রিমিয়ার লিগ, প্রতিবছর নির্ধারিত সময়ে দলবদল, ফিফা উইন্ডোতে প্রীতি ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা থেকে শুরু করে একই সময়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ ফুটবল আয়োজনের পরিকল্পনাও আছে সেখানে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Dec 2020, 12:40 PM
Updated : 31 Dec 2020, 12:40 PM

এত এত আয়োজনের প্রতিশ্রুতি, যথারীতি তাই প্রশ্নও থাকছে পরিকল্পনার বাস্তবায়ন নিয়ে।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকর্মীদের হাতে তিন পাতার বর্ষপঞ্জি তুলে দেওয়া হয়। সংস্থাটির সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আশাবাদও জানান।

বর্ষপঞ্জিতে বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপ রাখা হয়েছে ১ থেকে ১১ মার্চে। এর আগে-পরে জাতীয় দলের ক্যাম্প হবে। ২২ থেকে ২৩ মার্চ আছে ফিফা উইন্ডোতে প্রীতি ম্যাচ খেলার সুযোগ; ২৫ মার্চ আফগানিস্তানের বিপক্ষে রয়েছে দলের বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের ম্যাচ। মে-জুনেও এমন স্লট রয়েছে। তবে ওই সময়ের পরিকল্পনা বাছাইয়ের ফলের উপর নির্ভর করবে বলে জানালেন সালাউদ্দিন।

“বাছাইয়ে আমাদের এখনও তিনটা ম্যাচ আছে। ওই ম্যাচগুলোতে দল কোয়ালিফাই করলে পরিকল্পনা একরকম হবে। না করলে আরেকরকম হবে। হয়তো ওই ফিফা উইন্ডোতে প্রীতি ম্যাচ খেলা হবে।”

শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ ১৮ অক্টোবর শুরু হয়ে ৩০ অক্টোবর শেষ হওয়ার কথা। বরাবরই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে চট্টগ্রাম আবাহনী। এবার কারা করবে, তা নিয়ে নিশ্চিত নন বাফুফে সভাপতি।

“আমরা এখনও কারো কাছ থেকে আয়োজনের ব্যাপারে প্রস্তাবনা পাইনি। চট্টগ্রাম আবাহনী এটা আয়োজন করে, কিন্তু এক বছর হয়, এরপর বিরতি পড়ে (২০১৮ সালে হয়নি), আবারও হয়। তারাও এখনও কিছু বলেনি। যদি তারা আয়োজন করতে চায়, তাহলে অবশ্যই বিবেচনা করা হবে। তবে বাফুফে বা যেই আয়োজক হোক না কেন, টুর্নামেন্ট হবে।”

পাইপলাইনে ফুটবলারের সংকট দূর করতে তৃতীয়, দ্বিতীয় ও প্রথম বিভাগ ফুটবল লিগ একযোগে আয়োজনের পরিকল্পনা জানান সালাউদ্দিন। একই সঙ্গে তিনটি প্রতিযোগিতার জন্য প্রয়োজনীয় সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।

“দেখা যায় একই খেলোয়াড় তৃতীয়, দ্বিতীয় ও প্রথম বিভাগে খেলে। কিন্তু এগুলো একসঙ্গে আয়োজন করলে প্রতিটি দলকে অনেক খেলোয়াড় তুলে আনতে হবে। খেলোয়াড় আনা তাদের দায়িত্ব। এর বাইরে যে লজিস্টিক সাপোর্ট লাগে সেটা আমরা দিব।”

১৩ জানুয়ারি ২০২০-২১ মৌসুমের লিগ শুরুর কথা। খেলোয়াড়, কর্মকর্তা থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের সুরক্ষার উদ্যোগ নিতে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক পাওয়ার চেষ্টাও চলছে বলে জানান টানা চতুর্থবার বাফুফে সভাপতির আসনে বসা এই সাবেক ফুটবলার।

“এটা নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলাপ করেছি। বলেছি খেলোয়াড়, সংগঠক, গণমাধ্যমকর্মী, কর্মকর্তাদের যেন প্রাধান্য দেওয়া হয় (প্রতিষেধক পাওয়ার ব্যাপারে)। আমাকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।”

তৃণমূল থেকে ফুটবলার তুলে আনার জন্য আটটি বিভাগীয় শহরে কোচ নিয়োগ এবং তাদের অধীনে জেলা ও উপজেলা পর্যায় থেকে খেলোয়াড় তুলে আনার সিদ্ধান্তও জানিয়েছে বাফুফে।

প্রতিশ্রুতি পূরণে আর্থিক সীমাবদ্ধতা এবং তা নতুন বছরে কাটিয়ে ওঠার আশাবাদ বরাবরের মতোই জানিয়েছেন সালাউদ্দিন। জাতীয় দলকে আরও ভালো অবস্থানে দেখার প্রত্যাশা তার।

“আমি তো জাতীয় দলকে অনেক উপরে দেখতে চাই। ভালো চাই। আপনারা লিখবেন। আমি পরিকল্পনা করব; তাদেরকে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো এনে দিব। কিন্তু তারা যদি ভালো না খেলে, তাহলে কিছু হবে না। করোনা মহামারীর কারণে ২০২০ সাল ভালো যায়নি। আশা করি, ২০২১ সাল সবার জন্য ভালো বছর হবে।”