ব্রাদার্সকে গুঁড়িয়ে শেষ আটের পথে সাইফ স্পোর্টিং

প্রথমার্ধের দুই গোলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া সাইফ স্পোর্টিং দ্বিতীয়ার্ধেও করল আধিপত্য। আগের ম্যাচের মতোই নিজেদের ছায়া হয়ে থাকল ব্রাদার্স ইউনিয়ন। তাদের গোল বন্যায় ভাসিয়ে ফেডারেশন কাপের শেষ আটে এক পা দিয়ে রাখল পল জোসেফ পুটের দল।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Dec 2020, 04:18 PM
Updated : 26 Dec 2020, 04:18 PM

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শনিবার ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে ব্রাদার্সকে ৬-১ গোলে হারানো সাইফ স্পোর্টিং টানা দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে আছে। জোড়া গোল করেন ইকেচুকু এনগোকে কেনেথ। একটি করে গোল ইয়াসিন আরাফাত, আরিফুর রহমান, মিরাজ হোসেন ও সাজ্জাদ হোসেনের।

গ্রুপের অন্য ম্যাচে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের বিপক্ষে ৩-২ গোলে জিতেছে উত্তর বারিধারা; আরামবাগ ও উত্তর বারিধারার পয়েন্ট ৩ করে। টানা দুই হারে ব্রাদার্সের পরের পর্বে যাওয়ার সম্ভাবনা টিকে আছে স্রেফ কাগজে-কলমে।

শুরু থেকে ব্রাদার্সকে চাপে রাখা সাইফ স্পোর্টিং এগিয়ে যায় ১৬তম মিনিটে। নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার জন ওকোলির থ্রু পাস ধরে বাঁ দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন তার স্বদেশি ফরোয়ার্ড কেনেথ।

৩৬তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে আরাফাতের ফ্রি কিক রক্ষণ দেয়ালে লেগে জালে জড়ালে ব্যবধান হয় দ্বিগুণ। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ মুঠোয় নিয়ে বিরতিতে যায় আগের ম্যাচে উত্তর বারিধারাকে ৩-০ গোলে হারানো সাইফ স্পোর্টিং।

আরামবাগের কাছে ২-০ গোলে হেরে প্রতিযোগিতা শুরু করা ব্রাদার্স দ্বিতীয়ার্ধেও পারেনি ঘুরে দাঁড়াতে। বরং এ অর্ধের তৃতীয় মিনিটে গোল হজম করে কোণঠাসা হয়ে পড়ে আরও। শাহেদ থেকে পাওয়া বল কেনেথ ক্রস বাড়ানোর পর কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন আরিফুর।

৫২তম মিনিটে ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের ক্রসে কেনেথের শট তিতুমির চৌধুরী ফেরালেও পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি। নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ফের বলের নাগাল পাওয়ার আগে বিপদমুক্ত করেন ডিফেন্ডাররা।

৬৫তম মিনিটে বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে উঠে নিখুঁত শটে তিতুমিরকে পরাস্ত করেন কেনেথ। বড় জয়ের পথে ছুটতে থাকে সাইফ স্পোর্টিং। ৭৮তম মিনিটে আরিফুরের বাড়ানো বল নিখুঁত শটে জালে জড়িয়ে স্কোরলাইন ৫-০ করেন মিরাজ। তিন মিনিট পর আরিফুরের ছোট পাস ধরে গোলমুখ থেকে সাজ্জাদ ব্যবধান আরও বাড়ান।

যোগ করা সময়ে ব্রাদার্সকে স্পট কিক থেকে সান্ত্বনাসূচক গোল এনে দেন কঙ্গোর ফরোয়ার্ড সিও জুনাপিও।