আলফ্রেদো দি স্তেফানো স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে লা লিগার ম্যাচে ২-০ গোলে জিতেছে চ্যাম্পিয়নরা। কাসেমিরো দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর শেষ দিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন করিম বেনজেমা।
ঘরের মাঠে বছরের শেষ ম্যাচে জিতে পয়েন্টের হিসেবে শীর্ষে থাকা আতলেতিকো মাদ্রিদের পাশে থেকে বড়দিনের ছুটিতে যাচ্ছে রিয়াল।
অষ্টম মিনিটে আবারও নিজেদের ভুলেই বিপদে পড়তে বসেছিল রিয়াল। এবারের ভুলটি করেন থিবো কোর্তোয়া। ডি-বক্সের মুখে সহজ বল ধরতে গিয়ে তালগোল পাকান গোলরক্ষক, তার দুর্বলতায় বল পেয়েও প্রথম প্রচেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে নিতে কিংবা শট নিতে কোনোটাই পারেননি মিডফিল্ডার কেনেদি।
প্রথমার্ধের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি সময় রিয়াল বল দখলে রাখলেও তাদের বেশিরভাগ আক্রমণ ছিল ধারহীন। বিরতির আগে গোলের উদ্দেশে নয়টি শট নিলেও প্রতিপক্ষের রক্ষণ বা গোলরক্ষককে খুব বেশি ভাবাতে পারেনি তারা। বিরতির আগের যোগ করা সময়ে ভালো দুটি আক্রমণ করলেও নিশ্চিত সুযোগ মেলেনি।
প্রতিপক্ষের আক্রমণাত্মক ফুটবলের বিপরীতে নিজেদের বিবর্ণ রূপে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও বেশ চাপে ছিল রিয়াল। এর মাঝেই এক ঝলকে ৫৫তম মিনিটে তিনটি নিশ্চিত সুযোগ পায় তারা।
রদ্রিগোর বদলি নামা মার্কো আসেনসিওর দুর্দান্ত ব্যাকহিল ফ্লিকটি পোস্টে লেগে ফেরার পর টনি ক্রুস ও ফেদে ভালভেরদের শট ঝাঁপিয়ে ফেরান গোলরক্ষক দান্তাস দা সিলভা।
অবশেষে ৫৭তম মিনিটে মেলে গোলের দেখা। বাঁ দিক থেকে আসেনসিওর ছয় গজ বক্সে বাড়ানো ক্রসে অনেকটা লাফিয়ে হেডে দলকে এগিয়ে নেন কাসেমিরো।
চার মিনিট যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে দ্বিতীয় গোল খেয়ে বসে গ্রানাদা। ইসকোর পাস পেয়ে ডান দিক দিয়ে আক্রমণে উঠে কিছুটা আড়াআড়ি গিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের শটে জয় নিশ্চিত করেন বেনজেমা।
এবারের লিগে বেনজেমার এটি অষ্টম গোল। সব প্রতিযোগিতা মিলে মৌসুমে ১২টি।
সব প্রতিযোগিতা মিলে টানা ছয় ম্যাচ জিতল রিয়াল।
১৫ ম্যাচে ১০ জয় ও দুই ড্রয়ে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের দুইয়ে আছে রিয়াল। ১৩ ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আতলেতিকো।
১৬ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে রিয়াল সোসিয়েদাদ। ১৫ ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে ভিয়ারিয়াল।
১৪ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে বার্সেলোনা।