লিডসের জালে ইউনাইটেডের গোল উৎসব

প্রথম তিন মিনিটে দুই গোল করা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ম্যাচজুড়ে খেলল দাপুটে ফুটবল। নবাগত লিডস ইউনাইটেডকে উড়িয়ে পয়েন্ট তালিকার তিন নম্বরে উঠে এসেছে উলে গুনার সুলশারের দল।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Dec 2020, 06:29 PM
Updated : 20 Dec 2020, 07:09 PM

ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে রোববার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ৬-২ গোলে জিতেছে ইউনাইটেড। জোড়া গোল করেন স্কট ম্যাকটমিনে ও ব্রুনো ফের্নান্দেস। একবার করে জালের দেখা পান ভিক্তর লিনদেলোভ ও ড্যানিয়েল জেমস। ১৬ বছর পর প্রিমিয়ার লিগে ফেরা লিডসের দুই গোলদাতা লিয়াম কুপার, স্টুয়ার্ট ডালাস।

আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে রোমাঞ্চ জাগানো ম্যাচটিতে দুই দল মিলে গোলের উদ্দেশে মোট ৪৩টি শট নেয়, যার ১৭টি লক্ষ্যে। এর মধ্যে ইউনাইটেডের ২৬ শটের মধ্যে লক্ষ্যে ১৪টি।

১৯৯২ সালের ফেব্রুয়ারির পর এই প্রথম মার্সেলো বিয়েলসার কোচিংয়ে কোনো ক্লাব দল ম্যাচে ছয় গোল হজম করল। সেবার কোপা লিবের্তোদোরেসে সান লরেঞ্জোর বিপক্ষে তার দল নিওয়েলস ওল্ড বয়েজ হেরেছিল ৬-০ গোলে। 

ঘরের মাঠে ইউনাইটেডের শুরুটা হয় স্বপ্নের মতো। গোলের দেখা মেলে ৬৭ সেকেন্ডেই। ফের্নান্দেসের পাস পেয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ম্যাকটমিনে, গোলরক্ষক নড়ার সুযোগ পাননি। পরের মিনিটে অঁতনি মার্সিয়ালের বাড়ানো বল ডি-বক্সে পেয়ে বাঁ পায়ের শটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন স্কটল্যান্ডের এই মিডফিল্ডার।

প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে কোনো ম্যাচের প্রথম তিন মিনিটের মধ্যে দুই গোল করলেন ম্যাকটমিনে। লিগে তার আগের ৬৮ ম্যাচে গোল ছিল কেবল ৬টি।

১৯তম মিনিটে লিডসের প্যাট্রিক ব্যামফোর্ড বল জালে পাঠালেও অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান। পরের মিনিটেই স্কোরলাইন ৩-০ করেন ফের্নান্দেস। ডি-বক্সে মার্সিয়ালের শট ব্লকড হওয়ার পর ডান পায়ের শটে বল জালে পাঠান এই পতুগিজ মিডফিল্ডার।

৩৭তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ান লিনদেলোভ। কর্নারে মার্সিয়ালের হেড পাসে কাছ থেকে সহজেই গোলটি করেন এই সুইডিশ ডিফেন্ডার। 

প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের ৪৮২ ম্যাচে এসে এই প্রথম প্রথমার্ধে চার গোল হজম করল লিডস।

বিরতির আগে লিগে নিজের প্রথম গোল করে ব্যবধান কমান কুপার। কর্নারে হেডে জাল খুঁজে নেন স্কটল্যান্ডের এই ডিফেন্ডার।

দ্বিতীয়ার্ধেও আধিপত্য ধরে রাখে স্বাগতিকরা। ৪৭তম মিনিটে মার্সিয়ালের শট বাইরে দিয়ে গেলে ব্যবধান বাড়েনি। তিন মিনিট পর দারুণ এক সেভ করেন দাভিদ দে হেয়া। কাছ থেকে রাফিনিয়ার নেওয়া শট ফেরান ইউনাইটেডের স্প্যানিশ গোলরক্ষক।

৬৬তম মিনিটে ব্যবধান আবার বাড়িয়ে নেন জেমস। ম্যাকটমিনের পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে গোলরক্ষকের দুই পায়ের ফাঁক দিকে ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি। একটু পর সফল স্পট-কিকে নিজের দ্বিতীয় গোলে স্কোরলাইন ৬-১ করেন ফের্নান্দেস। প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে মার্সিয়াল ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি।

৭৩তম মিনিটে দারুণ এক গোলে আবার ব্যবধান কমান ডালাস। ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে গোলটি করেন তিনি।

বাকি সময়ে আরও অন্তত দুই গোল পেতে পারতো ইউনাইটেড। বদলি নামা এদিনসন কাভানি ও জেমসের প্রচেষ্টা রুখে দেন সফরকারী গোলরক্ষক।

১৩ ম্যাচে আট জয় ও দুই ড্রয়ে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে আছে ইউনাইটেড। এক ম্যাচ বেশি খেলে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্দশ স্থানে আছে লিডস।

টটেনহ্যাম হটস্পারকে তাদেরই মাঠে ২-০ গোলে হারানো লেস্টার সিটি ১৪ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে।

ইউনাইটেডের সমান ২৬ পয়েন্ট নিয়ে চারে এভারটন। ২৫ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে টটেনহ্যাম।

১৪ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল।