ডোপিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত বছরের ডিসেম্বরে রাশিয়াকে চার বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (ডব্লিউএডিএ)। পরে সেই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ক্রীড়ার সর্বোচ্চ আদালত ‘কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টসে (সিএএস) আপিল করে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার তা দুই বছর কমানোর কথা জানায় সিএএস, শেষ হবে ২০২২ সালের ১৬ ডিসেম্বর। এই সময়ে কোনো আন্তর্জাতিক ইভেন্ট আয়োজনও করতে পারবে না রাশিয়া।
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এ বছর থেকে আগামী বছরে পিছিয়ে যাওয়া ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে বাধা নেই রাশিয়ার। কারণ, ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফাকে ডোপ সংক্রান্ত বিধি ভঙ্গের ক্ষেত্রে ‘বড় আসর আয়োজক’ হিসেবে দেখা হয় না।
২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকের আগে মস্কোর পরীক্ষাগারেই রাশিয়ার অ্যাথলেটদের ডোপিংয়ের প্রমাণ মেলে। এরপর তাদেরকে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। মস্কোর বিরুদ্ধে মিথ্যা উপাত্ত দিয়ে গবেষণাগারের তথ্যে গড়মিল করার প্রমাণ পায় ওয়াডা। রুশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ডোপ টেস্টে পজিটিভ হওয়া অ্যাথলেটদের তথ্য মুছে দেওয়ার প্রমাণ মেলে।
ডোপ কেলেঙ্কারিতে জড়িত নন এমন অ্যাথলেটরা নিজেদের জড়িত না থাকার প্রমাণ দিতে পারলে নিরপেক্ষ পতাকা নিয়ে অংশ নিতে পারবেন অলিম্পিকে। দক্ষিণ কোরিয়ার পাইওংচাংয়ে ২০১৮ সালের শীতকালীন অলিম্পিকে ১৬৮ জন রুশ অ্যাথলেট নিরপেক্ষ পতাকা নিয়ে অংশ নিয়েছিলেন।
২০১৫ সাল থেকে অ্যাথলেটিক্সে দেশ হিসেবে রাশিয়ার অংশ নেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।