ঘরের মাঠে রোববার রাতে ১-০ গোলে হারা পিএসজি ১৪ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে নেমে গেছে তৃতীয় স্থানে। দারুণ জয়ে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে লিওঁ।
বোর্দোর মাঠ থেকে ২-১ গোলের জয় নিয়ে ফেরা লিল সমান ২৯ পয়েন্ট নিয়ে গোল পার্থক্যে উঠেছে শীর্ষে।
সর্বশেষ ফরাসি লিগ কাপের ফাইনালে পিএসজির ঘাম ছুটিয়ে দিয়েছিল লিওঁ। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে আটকে রাখার পর টাইব্রেকারে হেরেছিল তারা।
আগের ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইস্তানবুল বাসাকসেহিরকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দেওয়া পিএসজির খেলায় ছিল না চেনা ধার। নেইমার-আনহেল দি মারিয়া প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের প্রথমার্ধে নিতে পারেননি কোনো পরীক্ষা।
সপ্তম মিনিটে মার্কো ভেরাত্তির ক্রস ধরে আলেস্সান্দ্রো ফ্লোরেন্সির ডান পায়ের শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। শেষ মুহূর্তে টোকা দেওয়ার চেষ্টা করে পারেননি মোইজে কিন।
লিগ ওয়ানে টানা চার ম্যাচ জেতা লিওঁ নিজেদের রক্ষণ সামলে ছিল আক্রমণে মনোযোগী। ৩৫তম মিনিটের সুযোগ কাজে লাগিয়ে এগিয়েও যায় দলটি। টোকো একাম্বির বাড়ানো বল ধরে ডি-বক্সের ভেতর থেকে নিচু শটে কেইলর নাভাসকে পরাস্ত করেন টিনোটেনডা।
৪৩তম মিনিটে মিচেল বাকার ক্রসে ফ্লোরেন্সির শট গোলরক্ষক ফেরালে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় পিএসজি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে চিয়াগো মেন্দেসের শট ফিরিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে দেননি নাভাস। ৬৪তম মিনিটে তিনটি পরিবর্তন আনেন পিএসজি কোচ। লেয়ান্দ্রো পারেদেস, দি মারিয়া ও ভেরাত্তিকে তুলে আন্দের এররেরা, কিলিয়ান এমবাপে ও ইদ্রিয়া গেয়িকে নামান।
বাসাকসেহিরের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে আসা নেইমারের ৭০তম মিনিটে শট ফিরিয়ে লিওঁকে এগিয়ে রাখেন লোপেস। শেষ দিকে ফ্লোরেন্সির ক্রসে দানিলো পেরেইরার হেড পোস্টের বাইরে দিয়ে গেলে শিরোপাধারীদের হতাশা আরও বাড়ে।
দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে নেইমারের পাস ধরে এমবাপের শট অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। শেষ দিকে নেইমারকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন মেন্দেস। ব্যাথা পেয়ে নেইমার মাঠ ছাড়ায় হারের রাতে দুঃশ্চিন্তা আরও বেড়েছে পিএসজির।