কাম্প নউয়ে রোববার রাতে লা লিগায় অবনমন অঞ্চলের দল লেভান্তেকে ১-০ গোলে হারিয়েছে প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শিরোপাজয়ীরা।
দুই হারের পর জয়ের দেখা পেল রোনাল্ড কুমানের দল। গত সপ্তাহে লিগে কাদিসের মাঠে হারের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইউভেন্তুসের বিপক্ষে হেরেছিল বার্সেলোনা।
খুব বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে পথচলা কাতালান ক্লাবটি গোল খেতে বসেছিল শুরুতেই। দ্বাদশ মিনিটে দারুণ এক আক্রমণে বল পায়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন হোর্হে দে ফ্রুতোস। তবে একমাত্র বাধা গোলরক্ষক বরাবরই শট নিয়ে বসেন তিনি, পা দিয়ে রুখে দেন মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন।
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠা লড়াইয়ের ২১তম মিনিটে মুহূর্তের ব্যবধানে দুটি সুবর্ণ সুযোগ নষট হয় বার্সেলোনার। মেসির ফ্রি-কিকে ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে গ্রিজমানের হেড ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক। আলগা বল পেয়ে যান ক্লেমোঁ লংলে, গোলরক্ষক তখনও পড়ে ছিলেন; কিন্তু ফাঁকা জাল পেয়েও উড়িয়ে মারেন ফরাসি ডিফেন্ডার লংলে।
দুই মিনিটের মধ্যে স্বাগতিকদের আরও দুটি প্রচেষ্টা দারুণ নৈপুণ্যে ব্যর্থ করে দেন ফের্নান্দেস। ৩৮তম মিনিটে জর্দি আলবার ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া জোরালো ভলি কর্নারের বিনিময়ে ঠেকানোর পর গ্রিজমানের ভলিও ঝাঁপিয়ে ফেরান স্প্যানিশ এই গোলরক্ষক।
ইউভেন্তুসের বিপক্ষে সাতটি শট নিয়েও জালের দেখা না পাওয়া মেসি দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সুযোগ হারান। আলবার ফিরতি পাস ছোট ডি-বক্সে পেয়ে তার নেওয়া শট প্রতিহত হয়। ৬৩তম মিনিটে গোলরক্ষক বরাবর শট মেরে হতাশ করেন আর্জেন্টাইন তারকা।
অবশেষে ৭৬তম মিনিটে অপেক্ষার শেষ হয় বার্সেলোনার। নিজেদের সীমানায় লেভান্তে বল হারানোর পর ফ্রেংকি ডি ইয়ংয়ের বাড়ানো বল ধরে ডি-বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে ঠিকানা খুঁজে নেন রেকর্ড ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার। বল দূরের পোস্টের ভেতরের দিকে লেগে জালে জড়ায়।
শেষের কয়েক মিনিটে চাপ বাড়ায় লেভান্তে। হোসে মোরালেসের শট ডি-বক্সে ডিফেন্ডার সামুয়েল উমতিতির হাতে লাগলে কিছুক্ষণের জন্য বার্সেলোনা শিবিরে উৎকণ্ঠা বাড়ে। তবে তা ইচ্ছাকৃত বা হাত শরীর থেকে দূরে না থাকায় ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টি দেননি রেফারি। স্বস্তিতে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা।
কাঙ্ক্ষিত জয়ের দেখা মিললেও ফিনিশিংয়ে এমন দশা কোচ কুমানের জন্য মোটেও স্বস্তির নয়। পুরো ম্যাচে ২৪টি শট নিয়েছে তার দল, এর মধ্যে ১৩টিই লক্ষ্যে, সেখানে কিনা একমাত্র গোলটি পেতে অপেক্ষা করতে হলো দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি সময়!
১১ ম্যাচে পাঁচ জয় ও দুই ড্রয়ে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে উঠেছে বার্সেলোনা।
১৩ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে রিয়াল সোসিয়েদাদ। দুই ম্যাচ কম খেলা আতলেতিকো মাদ্রিদ সমান পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে।
১২ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রিয়াল মাদ্রিদ।