সতীর্থদের কাঁধে রস্সির শেষ যাত্রা

প্রিয় তারকাকে শেষ বিদায় জানাতে ইতালির শহর ভিসেনজায় জড়ো হলেন হাজারো ভক্ত-সমর্থক। দেখা মিলল ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপজয়ী ইতালি দলের কয়েকজন খেলোয়াড়কেও। ক্যাথেড্রাল পর্যন্ত তারাই কাঁধে করে বয়ে নিলেন প্রিয় সতীর্থ পাওলো রস্সির কফিন।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Dec 2020, 02:12 PM
Updated : 12 Dec 2020, 02:12 PM

গত বৃহস্পতিবার ৬৪ বছর বয়সে মারা যান ইতালির ১৯৮২ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক, সর্বকালের সেরা ফরোয়ার্ডদের একজন বলে বিবেচিত রস্সি।

শনিবার রস্সির কফিন বহনকারীদের মধ্যে ছিলেন মার্কো তারদেল্লি, আন্তোনিও কাবরিনি, জানকারলো আন্তোগনোনি, আলেস্সান্দ্রো আল্তোবেল্লি, ফ্রাঙ্কো কাওসিও, ফুলভিও কল্লোভাতি ও জুজেপ্পে বেরগোমি।
বিশ্বকাপ জয়ের পাশাপাশি ইউভেন্তুসের হয়ে দুটি সেরি আ, একটি করে ইউরোপিয়ান কাপ, কোপা ইতালিয়া ও উয়েফা সুপার কাপ জেতেন রস্সি। তবে ফুটবলে তিনি অমর হয়ে থাকবেন ১৯৮২ বিশ্বকাপে অভাবনীয় পারফরম্যান্সের জন্য।

স্পেনে অনুষ্ঠিত ওই বিশ্বকাপে রস্সির খেলারই কথা ছিল না। ম্যাচ পাতানোয় জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯৮০ সালে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল তাকে। তিনি অবশ্য বরাবরই সেই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, অবিচারের শিকার হয়েছিলেন। সেই নিষেধাজ্ঞা পরে দুই বছরে কমিয়ে আনা হলে বিশ্বকাপে যাওয়ার সুযোগ মেলে তার।

ব্রাজিলের বিপক্ষে ৩-২ গোলের জয়ে রস্সির হ্যাটট্রিক বিশ্বকাপ ইতিহাসের অন্যতম কাব্যগাথা হয়ে রয়েছে। সেই ম্যাচে রস্সি প্রথম গোলটি করেছিলেন যার পাস থেকে, সেই কাবরিনি আবেগাপ্লুত প্রিয় সতীর্থের শেষ বিদায়ে।

“আমি কেবল একজন সতীর্থকেই হারালাম না, হারিয়েছি একজন বন্ধু ও একজন ভাইকে।”

“একসঙ্গে আমরা লড়েছি, জিতেছি আবারও মাঝে মধ্যে হেরেছিও…আমরা ছিলাম একটা দলের অংশ, দলটা আমাদের। কখনও ভাবিনি সে এত তাড়াতাড়ি চলে যাবে।”

অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আগে রস্সির কফিন নেওয়া হয় ভিসেনজার রোমেও মেন্তি স্টেডিয়ামে। সেখানে তার ভক্ত-সমর্থকরা তাকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।

রস্সির নৈপুণ্যে ১৯৭৬-৭৭ আসরে সেরি আয় উঠে আসে ভিসেনজা। পরের মৌসুমে সেরি আর সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন রস্সি।