সেই গল্প শোনাতে গিয়েই ৩৯ বছর বয়সী এসি মিলানের এই ফরোয়ার্ড দৃঢ় কণ্ঠে জানালেন, বুটজোড়া এখনই তুলে রাখার কোনো ভাবনা নেই তার।
ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসে যেন নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করেছেন ইব্রাহিমোভিচ। চলতি মৌসুমে সেরি আয় আট ম্যাচে করেছেন এখন পর্যন্ত আসরের সর্বোচ্চ ১০ গোল।
ডাচ ক্লাব আয়াক্স, ইতালিয়ান ক্লাব ইউভেন্তুস, ইন্টার ও এসি মিলান, স্পেনের বার্সেলোনা ও ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের দল পিএসজির হয়ে লিগ জয়ের পর ২০১৬ সালে ইউনাইটেডে যোগ দেন ইব্রাহিমোভিচ। ওল্ড ট্রাফোর্ডের দলে ২০১৭ সালে চোট পেয়েছিলেন হাঁটুতে। এরপর প্রায় এক বছর ছিলেন মাঠের বাইরে।
এরপর যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে এলএ গ্যালাক্সির হয়ে দুই মৌসুম মাঠ মাতিয়ে গত জানুয়ারিতে ফেরেন পুরনো ঠিকানা মিলানে।
ইব্রাহিমোভিচের ছোঁয়াতেই যেন বদলে গেছে গত কয়েক মৌসুমে ধুঁকতে থাকা এসি মিলান। লিগে ১০ ম্যাচে আট জয় ও দুই ড্রয়ে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে তারা। এক ম্যাচ বেশি খেলা সাস্সুয়োলোর চেয়ে তারা ৪ পয়েন্টে এগিয়ে।
সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্যারিয়ার লম্বা করার পেছনের রহস্য জানান ইব্রাহিমোভিচ।
“(ইউনাইটেডের হয়ে খেলার সময় পাওয়া) চোটের পর নিজেকে বলেছিলাম যে যতদিন ফুটবল খেলতে পারব, ততদিন খেলব। আর এই পর্যায়ে খেলতে হলে পারফর্ম করতেই হবে। যদি পারফর্ম করতে পারি, দলের জন্য ফল বয়ে আনতে পারি, তাহলেই শীর্ষে থাকা সম্ভব।”
“আর সেটা করতে না পারলে আমার জায়গায় অন্য কেউ আসবে এবং পারফর্ম করবে। এই চাপ আমি পছন্দ করি। আগে যা করেছি, সেই বিচারে আমি জায়গা ধরে রাখতে চাই না। এখন আমি কি করছি, তার আলোকেই আমি এখানে। এই কারণেই আমি প্রতিদিন নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি।”