ফুটবলে সময়ের সবচেয়ে বড় দুই তারকার ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের পার্থক্যই ফল গড়ে দিয়েছে ম্যাচের; বার্সেলোনাকে তাদেরই মাঠে ৩-০ গোলে হারিয়ে দেয় ইউভেন্তুস।
২০১৮ সালে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে রোনালদো ইউভেন্তুসে পাড়ি জমানোর পর থেকে মঙ্গলবারের আগে এই দুই তারকার লড়াই দেখেনি বিশ্ব।
ইউরোপ সেরার মঞ্চে এই হাইভোল্টেজ লড়াইয়ের প্রথম পর্ব হতে পারতো গত অক্টোবরেই। কিন্তু কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ায় সেই ম্যাচে খেলতে পারেননি রোনালদো। ইউভেন্তুসের মাঠে সেদিন দলের ২-০ ব্যবধানের জয়ে যোগ করা সময়ে পেনাল্টি থেকে দলের দ্বিতীয় গোলটি করেছিলেন মেসি।
তাই ফুটবল বিশ্বের নজর আটকে ছিল কাম্প নউয়ের এই লড়াইয়ে। সুস্থ হয়ে রোনালদো মাঠে ফিরেছেন আগেই। সাম্প্রতিক সময়ে তার পায়ে ও শরীরে আগের সেই ক্ষিপ্রতাও কিছুটা চোখে পড়ে, গত কয়েকটি ম্যাচে পার্থক্যও গড়ে দেন তিনি।
বার্সেলোনার বিপক্ষে সেভাবেই নিজেকে মেলে ধরলেন পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সেলোনার বিপক্ষে এদিনই প্রথম জালের দেখা পান রোনালদো। তবে, সব প্রতিযোগিতা মিলে কাতালান দলটির বিপক্ষে তার গোলসংখ্যা অসাধারণ; এই দুটি নিয়ে ৩১ ম্যাচে হলো ২০ গোল।
সবশেষ লড়াইয়ে অবশ্য শুধু তার গোল দুটোই নজর কাড়েনি। বল পায়ে রাখার দিক থেকে এগিয়ে ছিলেন লিওনেল মেসি, সুযোগও বেশি পান ও তৈরি করেন তিনি; কিন্তু ম্যাচের শুরু থেকে ৩৫ বছর বয়সী রোনালদোর গতি আলাদা করে নজর কেড়েছে। তাতে বার্সেলোনার ধীর রক্ষণভাগকে ভালোই ভোগাতে পেরেছেন তিনি।
গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে রোনালদো কতটা কার্যকর ছিলেন, সেটা সবচেয়ে ভালো উপায়ে তুলে ধরা যেতে পারে শেষের একটি ঘটনায়। ৩-০ গোলে এগিয়ে দল সহজ জয়ের পথে, কিন্তু রোনালদো ছিলেন শুরুর সেই মনোভাবেই। আক্রমণে ওঠা মেসির পিছু নেন তিনি, নিজেদের ডি-বক্সে আর্জেন্টাইন তারকার থেকে বল কেড়ে নিয়ে দলের পাল্টা আক্রমণে নেতৃত্বও দেন।
সাম্প্রতিক সময়ে নিজেকে সেরা রূপে মেলে ধরতে লড়াই করে যাওয়া মেসিও কম চেষ্টা করেননি। দলের দিকহারা আক্রমণভাগকে নেতৃত্ব দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন তিনি, কিন্তু আশানুরূপ ফল মেলেনি কোনোবারই।
বেশ কয়েকবার দূর থেকে প্রতিপক্ষের অভিজ্ঞ গোলরক্ষক জানলুইজি বুফ্ফনের পরীক্ষা নিয়েছেন তিনি। গোলের উদ্দেশে মোট সাতটি শট ছিল তার, এর একটিও জালে যায়নি।