সবশেষ গত শনিবার ঘরের মাঠে দ্বিতীয়ার্ধের দুই গোলে রিয়াল ভাইয়াদলিদকে ২-০ ব্যবধানে হারায় আতলেতিকো। লিগে এখন পর্যন্ত অপরাজিত দলটি ১০ ম্যাচে সম্ভাব্য ৩০ পয়েন্টের মধ্যে ২৬ পয়েন্ট তুলে নিয়েছে।
নবম স্থানে নেমে যাওয়া বার্সেলোনার চেয়ে আতলেতিকো এগিয়ে আছে ১২ পয়েন্টে। আর ৬ পয়েন্টে এগিয়ে আছে এক ম্যাচ বেশি খেলে চারে থাকা রিয়ালের চেয়ে। আগামী সপ্তাহে গতবারের চ্যাম্পিয়নদের মাঠে খেলবে তারা।
আতলেতিকোর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল সোসিয়েদাদ ২৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে। তবে দুই ম্যাচ বেশি খেলেছে তারা। আবার নিজেদের শেষ দুই ম্যাচেই করেছে ড্র। হাতে থাকা দুই ম্যাচ জিতলে সোসিয়েদাদের চেয়ে ৭ পয়েন্টে এগিয়ে যাবে আতলেতিকো।
১০ ম্যাচে সব মিলিয়ে গোল করেছে তারা ২১টি। বিপরীতে হজম করেছে মাত্র ২টি। জাল অক্ষত রেখেছে আট ম্যাচে।
তাদের আরেকটি বড় অর্জন, গত এক দশকের মধ্যে লিগে প্রথমবারের মতো এবার বার্সেলোনাকে হারিয়েছে তারা।
ভাইয়াদলিদের বিপক্ষে মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের হেডে বাড়ানো বল ধরে সঙ্গে লেগে থাকা ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে দারুণ এক গোল করেন মার্কোস ইয়োরেন্তে। এক বছরের কম সময় আগেও যিনি হোল্ডিং মিডফিল্ডার হিসেবে খেলতেন। সেই ইয়োরেন্তেকে দুর্দান্ত একজন ফরোয়ার্ডে পরিণত করেছেন কোচ সিমেওনে। নিজের দিনে ম্যাচ জেতাতে সক্ষম এই স্প্যানিয়ার্ড।
যেভাবে ছুটছে আতলেতিকো তাতে লিগ শিরোপার বড় দাবিদার ভাবা হচ্ছে তাদের। দলটির কেউ অবশ্য এখনই শিরোপা নিয়ে কথা বলছে না। সিমেওনে যেমন বললেন, তাদের ভাবনা কেবল পরের ম্যাচ নিয়ে।
“সব সময় আমরা পরের ম্যাচ নিয়ে ভাবি। আমরা যা করছি, তা নিয়ে পড়ে থাকি না। ফুটবলে পরের সপ্তাহে কি ঘটবে, সেটাই আসল।”
সিমেওনে বা তার শিষ্যদের ভাবনায় এখনই শিরোপা জয় না আসলেও অনেকেই তেমনটা ভাবতে শুরু করেছেন। স্পেনের সাংবাদিক পাকো গন্সালেস যেমন আতলেতিকোকেই এবার লিগ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে দেখছেন।
“আতলেতিকো শিরোপা প্রার্থী অথবা ফেভারিট কি-না, তা নিয়ে বিতর্ক করা অর্থহীন। আমি মনে করি, তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েই আছে।”