৩৩ বছরে সবচেয়ে বাজে শুরু বার্সার

মৌসুমের প্রথম দুই ম্যাচে নিজেদের জাল অক্ষত রেখে প্রতিপক্ষের জালে যথাক্রমে ৪ ও ৩ গোল। নি:সন্দেহে দারুণ শুরু। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শুরুর সেই ছন্দ হারিয়ে লা লিগায় যেন নিজেদের খুঁজে ফিরছে বার্সেলোনা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Dec 2020, 11:29 AM
Updated : 7 Dec 2020, 11:29 AM

বারবার ছন্দে ফেরার আভাস দিয়েও ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি তারা। সবশেষ নবাগত কাদিসের বিপক্ষে হারে শিরোপা পুনরুদ্ধারের পথ আরও কঠিন হয়ে উঠেছে রোনাল্ড কুমানের দলের। ১০ ম্যাচ খেলে অর্জন মাত্র ১৪ পয়েন্ট, লিগ টেবিলে নেমে গেছে ৯ নম্বরে। কাতালান দলটিকে লিগে সবশেষে এমন বাজে অবস্থায় দেখা গিয়েছিল ৩৩ বছর আগে।

অবনমন অঞ্চল থেকে মাত্র ৩ পয়েন্ট দূরত্বে বার্সেলোনা। আর চূড়া থেকে ১২ পয়েন্ট নিচে তারা। তাদের সমান ম্যাচ খেলে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আতলেতিকো মাদ্রিদ।

সবশেষ ২০১৮-১৯ আসরের চ্যাম্পিয়নদের ১৪ পয়েন্ট এসেছে চার জয় ও দুই ড্র থেকে। চারটিতে হার। লিগের এই পর্যায়ে এসে বার্সেলোনাকে সবশেষ এমন বাজে অবস্থায় দেখা গিয়েছিল ১৯৮৭-৮৮ মৌসুমে। সেবার ছয়ে থেকে লিগ শেষ করেছিল তারা। মৌসুম শুরুর চার ম্যাচ পরেই বরখাস্ত হয়েছিলেন কোচ টেরি ভেনাবল্স।

জিতলে ২ এর পরিবর্তে ৩ পয়েন্টের যুগে এটাই সবচেয়ে বাজে শুরু বার্সেলোনার।

স্প্যানিশ পত্রিকা মার্কার প্রতিবেদন অনুযায়ী এবারের আসরের বার্সেলোনার হতশ্রী রূপের আরও কিছু তথ্য:

রক্ষণ দুর্বলতা

আসরে অনেক ম্যাচেই রক্ষণের মারাত্মক ভুলে গোল খেয়েছে বার্সেলোনা। ১০ ম্যাচের যে ছয়টিতে প্রথমেই গোল হজম করেছে তারা, তার একটিতেও জিততে পারেনি দলটি।

মাত্র তিন ম্যাচে নিজেদের জাল অক্ষত রাখতে পেরেছে কুমানের দল, হজম করেছে মোট ১১ গোল।

ভ্রমণ ক্লান্তি

এখন পর্যন্ত পাঁচটি অ্যাওয়ে ম্যাচের মাত্র একটিতে জিতেছে বার্সেলোনা, সেল্তা ভিগোর বিপক্ষে দ্বিতীয় রাউন্ডে। কাম্প নউয়ের বাইরে তারা হেরেছে গেতাফে, আতলেতিকো ও কাদিসের বিপক্ষে, আলাভেসের বিপক্ষে করেছে ড্র।

আক্রমণভাগের কার্যকারিতা

বরাবরই গোল করার দিক দিয়ে লা লিগার অন্যতম কার্যকর দল বার্সেলোনা। লিগে এখন পর্যন্ত তারা গোল করেছে ২০টি। তাদের চেয়ে বেশি গোল কেবল আতলেতিকো (২১) ও দুই ম্যাচ বেশি খেলা রিয়াল সোসিয়েদাদের (২২)।

তবে অন্য মৌসুমের তুলনায় বার্সেলোনার এই পরিসংখ্যানকে তেমন একটা ভালো বলার সুযোগ নেই। এবার প্রতি ৪৫ মিনিটে একটি গোল করেছে তারা, গত ১২ বছরের মধ্যে যা সর্বনিম্ন।

ফিনিশিংয়ের কথা বিবেচনা করলে, প্রতি গোলের জন্য তাদের লক্ষ্যে শট নিতে হয়েছে তিনটি, গত ১৩ বছরে যা বাজে রেকর্ড।

লিগে ঘুরে দাঁড়ানোর যথেষ্ঠ সময় অবশ্য আছে বার্সেলোনার সামনে। তবে ক্লাবটির সমর্থকদের জন্য ভাবনার বিষয় হলো, কোচ নিজে শিরোপার ব্যাপারে খুব একটা আশাবাদী নন। কাদিস ম্যাচের পর এমন হতাশাই ব্যক্ত করেন কুমান।

“এই হার শিরোপা লড়াইয়ের পথে আমাদের জন্য অনেক বড় এক ধাক্কা।”