ঘুরে দাঁড়িয়ে ইউভেন্তুসের দারুণ জয়

এক দলের নজর টানা দশম শিরোপায়, আরেক দলের লড়াই টিকে থাকার। শক্তিতে পার্থক্য আকাশ-পাতাল। তবে ডার্বি বলে কথা, যেখানে প্রায়ই এ সবের কোনো অর্থ থাকে না। আরও একবার এর প্রমাণ দেখালো তোরিনো। অবনমন অঞ্চলে থাকা দলটি যেন নিজেদের ছাড়িয়ে গেল, সিকি শতাব্দী পর নগর প্রতিদ্বন্দ্বিদের মাঠে জেতার আশা জাগাল। কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারল না, শেষের দিকে দুই গোলে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয়ে ফিরল ইউভেন্তুস।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Dec 2020, 07:00 PM
Updated : 5 Dec 2020, 07:27 PM

সেরি আর ম্যাচে শনিবার ২-১ গোলে জিতেছে শিরোপাধারীরা। নবম মিনিটে এগিয়ে গিয়েছিল তোরিনো। আশা জাগিয়েছিল ২৫ বছরের মধ্যে ইউভেন্তুসের মাঠে প্রথম জয়ের। তবে ওয়েস্ট ম্যাককেনি ও লিওনার্দো বোনুচ্চির চমৎকার দুই গোলে জয়ের হাসিতে মাঠ ছাড়ে ইউভেন্তুস।

আগের ম্যাচে বেনেভেন্তোর মাঠে ড্র করা ইউভেন্তুস তুরিন ডার্বিতে জিতে আপাতত দুই নম্বরে উঠে এসেছে। ১০ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২০। সমান ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ১৮ নম্বরে তোরিনো।

লিগে উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যাওয়া ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নদের শুরু থেকে চেপে ধরে তোরিনো। প্রথম ভালো সুযোগেই এগিয়ে যায় দলটি।

নবম মিনিটে কর্নার ক্লিয়ার করতে পারেনি ইউভেন্তুসের কেউ। সোয়াইলো মেইতের ফ্লিকে বল পেয়ে বাম পায়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডান পায়ের আড়াআড়ি শটে দূরের পোস্ট দিয়ে জাল খুঁজে নেন অরক্ষিত নিকোলাস এনকোলো।

পাঁচ মিনিট পর দ্বিগুণ হতে পারত ব্যবধান। প্রতি-আক্রমণে দারুণ গতিতে এগিয়ে আসা সিমোন জাজার সামনে ছিলেন কেবল ভয়চেখ স্ট্যাটসি। ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড জাজার বুলেট গতির শট দারুণ দক্ষতায় ঝাঁপিয়ে ফেরান পোলিশ গোলরক্ষক।

আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠা ম্যাচে দুই দলই খেই হারাচ্ছিল প্রতিপক্ষের রক্ষণে গিয়ে। প্রথমার্ধের বাকি সময়ে কোনো গোলরক্ষককেই সত্যিকারের কোনো পরীক্ষায় পড়তে হয়নি।

৪৩তম মিনিটে লক্ষ্যে প্রথম শট রাখতে পারে ইউভেন্তুস। ডি-বক্সের বাইরে থেকে পাওলো দিবালার শট সহজেই ফেরান গোলরক্ষক। দুই মিনিট পর সুযোগ আসে আন্দ্রেয়া বেলোত্তির সামনে। জোরালো ভলি লক্ষ্যে রাখতে

৫৭তম মিনিটে দিবালার কর্নারে বল পেয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে আড়াআড়ি শটে জাল খুঁজে নেন কুয়াদরাদো। ভিএআরের সহায়তা নিয়ে গোল বাতিল করেন রেফারি। সে সময় অফসাইডে ছিলেন বোনুচ্চি এবং তোরিনো ডিফেন্ডার লিয়ানকো ভয়নোভিচকে বলের কাছে যেতে বাধাও দিয়েছিলেন তিনি।

সেই ১৯৯৫ সালে শেষ ইউভেন্তুসের মাঠে জিতেছিল তোরিনো। রক্ষণ দারুণভাবে সামাল দিয়ে আশা জাগিয়েছিল লম্বা অপেক্ষার অবসানের। কিন্তু পিরলোর দলের আক্রমণের ঝাপটায় আর পেরে ওঠেনি তারা।

গোলের জন্য মরিয়া ইউভেন্তুস ৭৭তম মিনিটে ফেরায় সমতা। কুয়াদরাদোর ক্রসে দূরের পোস্টে অরক্ষিত ম্যাককেনি চমৎকার হেডে খুঁজে নেন জাল। সেরি আয় যুক্তরাষ্ট্রের মিডফিল্ডারের এটাই প্রথম গোল।

৮৯তম মিনিটে কুয়াদরাদোর আরেকটি চমৎকার ক্রসে প্রায় একইভাবে জাল খুঁজে নেন বোনুচ্চি। ইউভেন্তুস অধিনায়কের হেড থামানোর কোনো সুযোগই ছিল না তোরিনো গোলরক্ষকের।

১০ ম্যাচে পঞ্চম জয় পেল ইউভেন্তুস, বাকি পাঁচ ম্যাচ ড্র। তোরিনোর এটি ষষ্ঠ হার।