দোহার আব্দুল্লাহ আল খলিফা স্টেডিয়ামে শুক্রবার ২০২২ বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের ‘ই’ গ্রুপের প্রিলিমিনারি রাউন্ডের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে ৫-০ গোলে হারে বাংলাদেশ। প্রথম লেগে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বৃষ্টিভেজা ভারি মাঠে বিশ্বকাপের আয়োজকদের কাছে ২-০ গোলে হেরেছিল জেমি ডের দল।
বাফুফে ভবনে শনিবার কাতার ম্যাচ ও সামনের তিন ম্যাচ নিয়ে নিজের ভাবনা জানান সালাউদ্দিন। ভারত, আফগানিস্তান ও ওমানের বিপক্ষে ম্যাচের আগে শক্তিশালী দলের বিপক্ষে খেলে প্রস্তুতি নেওয়ার কথাও বলেন সভাপতি।
“বাছাইয়ে আমাদের আর তিনটা ম্যাচ আছে। তিন ম্যাচের প্রত্যেকটার আগে আমি চার সপ্তাহের ট্রেনিং চাই। দুই সপ্তাহ ফিজিক্যাল ট্রেনিং, দুই সপ্তাহ ম্যাচ খেলব। আমার টার্গেট হলো, এই দুই সপ্তাহে আমি ম্যাচ খেলব মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডের সঙ্গে…শক্তিশালী দলগুলোর সঙ্গে।“
“এক একটা ম্যাচ খেলতে আমি দেখেছি বাজেট লাগে দুই কোটি টাকা। তো তিনটা ম্যাচ খেলতে আমার ছয় কোটি টাকা লাগবে। এই ছয় কোটি টাকা আমাকে জোগাড় করতে হবে দ্রুত। তাহলে আমি খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে রেজাল্ট আদায় করতে পারি।”
২০১৮ বিশ্বকাপের বাছাইয়ের ম্যাচে ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেছিল বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষের মাঠে ৫-০ গোলে হারের পর নিজেদের মাঠে হেরেছিল ৪-০ ব্যবধানে। ওই সময় থেকে অনুশীলনের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে কাতারে এত গোল হজম করতে হতো না বলেও মনে করেন এই সাবেক তারকা ফরোয়ার্ড।
“সমস্যা হলো ধারাবাহিকতা। আমি যখন অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারলাম, তখন যদি ট্রেনিংটা ধারাবাহিক রাখতে পারতাম, তাহলে কাল প্রথমার্ধে যে দুইটা গোল হয়েছে, ওই দুইটাই থাকত। ধারাবাহিকতা থাকতে হবে। নেপালকে আনতে গিয়ে আমার বোর্ডের থেকে অভিযোগ আসে-টাকা খরচ করা যাবে না। এটা ঠিক, কিন্তু এটা তো করতে হবে।”
“অস্ট্রেলিয়ার কাছে যখন ৪-০ গোলে হারলাম, তখন থেকে যদি অনুশীলনের ধারাবাহিকতা রাখতে পারতাম, তাহলে হয়ত ভিন্ন ফল দেখা যেত। আজকে আপনাদের কাছে ওয়াদা করলাম, যেভাবেই হোক এই ধারাবাহিকতা আমি রাখব। যদি রাখতে না পারি, আমি আমার গোটা কমিটিকে বলব পদত্যাগ কর।
এটা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় করুক, যেখান থেকে হোক, সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে। কেননা আমরা একটা জাতি তৈরি করতে চাই। ছেলেদেরকে দোষ দিলে হবে না, আপনাকে তাদেরকে দিতে হবে।”
কদিন আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন সালাউদ্দিন। সেরেও উঠেছেন। তবে শরীরটা ভালো না থাকায় কাতারের বিপক্ষে দলের খেলা দেখেননি বলেও জানান টানা চতুর্থ মেয়াদে বাফুফে সভাপতি হওয়া এই সাবেক ফুটবলার।
“সত্যি কথা বলতে আমি ম্যাচ দেখিনি, আমি ফোনে কথা বলেছি, কমেন্ট্রি শুনেছি, কিন্তু ম্যাচ দেখিনি। কেননা, বাংলাদেশ খেললে আমি নিতে পারি না। আর আমার শরীরও ভালো ছিল না। কিন্তু পনের মিনিট পর পর আমি শুনছিলাম।”
“আমার মূল্যায়ন খুব সিম্পল-আমরা সবাই জানি কাতার এশিয়ার সেরা দল। কোনো সন্দেহ নেই। আমি দেখেছি সৌদি আবর, লেবানন, উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরাক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়ে ফাইনাল খেলতে। জাপানের বিপক্ষে ওদের ফাইনালে আমি উপস্থিত ছিলাম।”