বুদাপেস্টে ‘জি’ গ্রুপের ম্যাচে ৩-০ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। অঁতোয়ান গ্রিজমান দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মার্টিন ব্রাথওয়েট। পেনাল্টি থেকে দলের তৃতীয় গোলটি করেন উসমান দেম্বেলে। প্রথম দেখায় ঘরের মাঠে ৫-১ গোলে জিতেছিল বার্সেলোনা।
লিওনেল মেসি, ফিলিপে কৌতিনিয়ো ও মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেনদের বিশ্রাম দিলেও জয় নিয়ে খুব একটা ভাবতে হয়নি সফরকারীদের। প্রথম আধ ঘণ্টায় তিনবার জালে বল পাঠিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ মুঠোয় নিয়ে নেয় দলটি। হাঙ্গেরির লিগে ৫৯ ম্যাচ ধরে অপরাজিত দলটি সেভাবে চাপে ফেলতে পারেনি কখনও। গ্রুপ পর্বে টানা পঞ্চম জয় তুলে নেয় বার্সেলোনা।
১০ মিনিট পর এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। দেম্বেলের সঙ্গে ‘ওয়ান-টু-ওয়ান’ খেলে বাঁ দিক থেকে চমৎকার ক্রসে জর্দি আলবা খুঁজে নেন গ্রিজমানকে। দারুণ ফিনিশিংয়ে জাল খুঁজে নেন ফরাসি এই ফরোয়ার্ড।
বার্সেলোনার হয়ে আলো ছড়াতে শুরু করা গ্রিজমান সব ধরনের প্রতিযোগিতায় স্প্যানিশ দলটির হয়ে গোল পেলেন টানা তিন ম্যাচে।
২৮তম মিনিটে স্পট কিকে স্কোরলাইন ৩-০ করেন দেম্বেলে। ডি-বক্সে ডিফেন্ডার আব্রাহাম ফ্রিমপং ব্রাথওয়েটকে ফাউল করায় পেনাল্টি পেয়েছিল বার্সেলোনা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে স্বাগতিকরা। বার্সেলোনাও খেলে যায় একই মেজাজে। জমে ওঠে ম্যাচ। দুই দলই ছন্দ হারাচ্ছিল প্রতিপক্ষের রক্ষণে গিয়ে।
৬৭তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে কাট করে ঢুকে দেম্বেলের কোনাকুনি শট একটুর জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। পাঁচ মিনিট পর দারুণ দক্ষতায় ঝাঁপিয়ে রোকো বাতুরিনার হেড ঠেকিয়ে বার্সেলোনার ত্রাতা নেতো।
পরের মিনিটেই বার্সেলোনার হয়ে নিজের প্রথম গোলের সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন ফ্রান্সিসকো ত্রিনকাও। দেম্বেলের কাছ থেকে বল পেয়ে বিপজ্জনক জায়গা থেকে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি।
৮৩তম মিনিটে প্রতি-আক্রমণ থেকে বার্সেলোনার সামনে সুযোগ আসে ব্যবধান বাড়ানোর। রিকি পুসের কাছ থেকে বল পেয়ে সামনে গোলরক্ষককে একা পেয়েও শট নেননি দেম্বেলে। বাঁ দিক থাকা পুসকে বল বাড়াতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু স্বাগতিকদের এক খেলোয়াড় মাঝপথে বলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার নষ্ট হয় আরেকটি দারুণ সুযোগ।
পাঁচ ম্যাচে শতভাগ জয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই বার্সেলোনা। দিনের অন্য ম্যাচে দিনামো কিয়েভকে ৩-০ গোলে হারানো ইউভেস্তুস ১২ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে। আগেই শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে বার্সেলোনা ও ইউভেন্তুস। মোটে ১ পয়েন্ট করে পাওয়া ফেরেন্সভারোস ও দিনামোর লড়াই ইউরোপা লিগে জায়গা পাওয়া নিয়ে।