বাস্কেটবলে হ-য-ব-র-ল

ছয় দল নিয়ে প্রিমিয়ার লিগ শুরু করেছে বাস্কেটবল ফেডারেশন। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে লিগে অংশ না নেওয়া ছয় দল করছে প্রতিবাদী সংবাদ সম্মেলন। দেশের বাস্কেটবলে তৈরি হয়েছে হ-য-ব-র-ল এক পরিস্থিতি!

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Dec 2020, 01:24 PM
Updated : 1 Dec 2020, 01:24 PM

হরনেটস এসসি, রেঞ্জার্স, ধূমকেতু, বকশী বাজার, যোশে ফাইটস এবং ওল্ড ডিওএইচএস-এই ছয় দল নিয়ে মঙ্গলবার শুরু হয়েছে লিগ।

লিগে নিয়মিত ছয় দল দ্য গ্রেগোরিয়াস, ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস, দ্য গ্রেগস, শাওনস ক্লাব, ইগলস ক্লাব ও ফ্লেইম বয়েজ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এ মুহূর্তে খেলতে রাজি নয়। তারা চেয়েছিল আগামী বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চে খেলতে।

এ বছরই লিগ আয়োজনের ব্যাপারে অনড় বাস্কেটবল ফেডারেশন শেষ পর্যন্ত প্রথম বিভাগ থেকে উঠে আসা যোশে ফাইটস এবং ওল্ড ডিওএইচএস আর প্রিমিয়ারের চার দল নিয়ে শুরু করেছে লিগ।

ফেডারেশনের সিদ্ধান্তে হতাশ ও ক্ষুব্ধ ছয় ক্লাবের প্রতিনিধিরা মঙ্গলবার করেছেন সংবাদ সম্মেলন। ঈগলস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আকলাস হোসেন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে সরে দাঁড়ানোর কারণ হিসেবে জানিয়েছেন।

“বাংলাদেশ বাস্কেটবল ফেডারেশন আজ থেকে ছয়টি দল নিয়ে জাতির জনকের নামে আয়োজন করছে প্রিমিয়ার বাস্কেটবল লিগ। যেখানে আজ আমাদের ছয়টি ক্লাবেরও উপস্থিত থাকার কথা ছিল। অথচ সেখানে না থেকে আমরা আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি যৌক্তিক কিছু কারণ নিয়ে।”

“দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার বাড়ছে।…  বাস্কেটবল খেলার অধিকাংশ খেলোয়াড় স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত। খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্য ঝুঁকি চিন্তা করে প্রিমিয়ার ডিভিশনের ৬টি দল ফেব্রুয়ারি-মার্চে লিগ আয়োজন করার জন্য অনুরোধ করেছিল। কিন্তু ফেডারেশন সেটা মানেনি। তারা প্রথম বিভাগ থেকে মাত্রই উঠে আসা দুই দলকে নিয়ে লিগ আয়োজন করছে।”

লিগ আয়োজনের ব্যাপারে ফেডারেশনের নির্বাহী সদস্য রঞ্জিত চন্দ্রের দাবি, দল গোছাতে না পারায় টুর্নামেন্টে খেলছে না ছয় দল। 

“প্রথম ও দ্বিতীয় মিটিং পর্যন্ত নয়টি ক্লাবই খেলতে রাজি ছিল। গত অগাস্ট মাসেই দল গঠনের কথা বল হয়েছিল। তারা প্রস্তুতিও নিয়েছিল। খেলোয়াড়রাও প্রস্তুত। কিন্তু কয়েকটি ক্লাব তাদের কনফার্ম না করায় তারা অন্য দলে চলে গেছে। তাই এখন তারা ভালো খেলোয়াড় সংগ্রহ করতে না পারায় খেলতে চাচ্ছেন না।”

“কোভিড-১৯ তাদের আরেকটা কারণ। তাদের অনুরোধে একবার খেলা পিছানো হয়। এখন আবার বলছে পিছাতে। এরকম ধারাবাহিক পিছানো হলে এবছর খেলা সম্ভব নয়। তখন আবার দায় আসবে ফেডারেশন লিগ করেনা।”