পুরুষ বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচনে বুধবার নিজেদের ওয়েবসাইটে ১১ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থাটি। তালিকায় আরও আছেন কিলিয়ান এমবাপে, থিয়াগো আলকান্তারা, কেভিন ডে ব্রুইনে, সাদিও মানে, সের্হিও রামোস, মোহামেদ সালাহ ও ভার্জিল ফন ডাইক।
গত মৌসুমে বায়ার্ন যে দুর্বার হয়ে উঠেছিল, তার মূলে ছিল লেভানদোভস্কির অসাধারণ ধারাবাহিক পারফরম্যান্স। অপরাজিত থেকে তাদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পথে আসরের সর্বোচ্চ ১৫ গোল করেন পোলিশ স্ট্রাইকার। আর বুন্ডেসলিগায় করেন ৩৪ গোল।
সব প্রতিযোগিতা মিলে ক্লাবের হয়ে ২০১৯-২০ মৌসুমে ৫৫ গোল করা লেভানদোভস্কি এবার ব্যালন ডি’অর জয়ের দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে ছিলেন। তবে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে মৌসুমের অনেকটা সময় ভেস্তে যাওয়ার পর পুরস্কারটির ৬৪ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো তা এবছর না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায় ‘ফ্রান্স ফুটবল।’
অবশ্য ফিফার ‘দা বেস্ট’ পুরস্কারটি জিততে পারলে বর্ষসেরা ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন পূর্ণ হবে ৩২ বছর বয়সী তারকা এই স্ট্রাইকারের। আগামী ১৭ ডিসেম্বর ‘ফিফা দা বেস্ট ফুটবল অ্যাওয়ার্ডসে’ ঘোষণা করা হবে এবারের বর্ষসেরার নাম।
রেকর্ড ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার মেসি অবশ্য গেল মৌসুমে দলগতভাবে তেমন কিছুই জিততে পারেননি। উল্টো কোভিড-১৯ এর ছোবলে বিলম্বিত মৌসুমে তার দল বার্সেলোনার শেষটা হয় চরম বিপর্যয়ে। আগেভাগে কোপা দেল রে থেকে বিদায় নেওয়ার পর লা লিগায় ছন্দ হারিয়ে হারায় শিরোপা। সবশেষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালে বায়ার্নের বিপক্ষে ৮-২ গোলে বিধ্বস্ত হয়ে খালি হাতে শেষ করে মৌসুম।
ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে অবশ্য বেশ কিছু প্রাপ্তি ছিল তার, গড়েন নতুন কিছু রেকর্ডও। লিগে ৩৩ ম্যাচ খেলে ২৫ গোল করে জিতে নেন রেকর্ড সপ্তম পিচিচি ট্রফি।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার রোনালদো ইউভেন্তুসের হয়ে গত মৌসুমে জিতেন সেরি আ শিরোপা। ক্লাবের টানা নবম লিগ জয়ে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ গোল করেন তিনি, আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
সময়ের সেরা ফুটবলারদের কাতারে থাকা নেইমারেরও গেল মৌসুমের অর্জন ছিল না তেমন আহামরি। করোনাভাইরাসের কারণে লিগ ওয়ান ভেস্তে গেলেও পিএসজিকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অবশ্য নিজেকে কিছুটা মেলে ধরেছিলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে এক লেগের লড়াইয়ে পরিনত হওয়া ‘মিনি টুর্নামেন্টে’ জালের দেখা না পেলেও দলকে ফাইনালে তোলার পথে বড় অবদান ছিল তার। আক্রমণভাগের নেতৃত্বে ছিলেন তিনিই। যদিও ফাইনালে বায়ার্নের কাছে হেরে স্বপ্ন ভাঙে তাদের।
৩০ বছর পর লিভারপুলের লিগ শিরোপা জয়ে অবদান রাখায় সেরার লড়াইয়ে জায়গা পেয়েছেন সাদিও মানে, মোহামেদ সালাহ ও ভার্জিল ফন ডাইক।
একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেলের বেছে নেওয়া ১১ জনের এই তালিকা বুধবার প্রকাশ করেছে ফিফা। মধ্য ইউরোপীয় সময় ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার ওয়েব সাইটে ভোট দিতে পারবেন ভক্তরা।
১১ জনের তালিকা:
রবের্ত লেভানদোভস্কি (পোল্যান্ড/বায়ার্ন মিউনিখ)
লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা/বার্সেলোনা)
ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো (পর্তুগাল/ইউভেন্তুস)
নেইমার (ব্রাজিল/পিএসজি)
থিয়াগো আলকান্তারা (স্পেন/বায়ার্ন মিউনিখ/লিভারপুল)
কেভিন ডে ব্রুইনে (বেলজিয়াম/ম্যানচেস্টার সিটি)
সাদিও মানে (সেনেগাল/লিভারপুল)
কিলিয়ান এমবাপে (ফ্রান্স/পিএসজি)
সের্হিও রামোস (স্পেন/রিয়াল মাদ্রিদ)
মোহামেদ সালাহ (মিশর/লিভারপুল)
ভার্জিল ফন ডাইক (নেদারল্যান্ডস/লিভারপুল)