গোলখরার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এলেন নেইমার। ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ডের গোলেই লাইপজিগের বিপক্ষে কষ্টের জয় পেলো পিএসজি। নিল প্রথম লেগে হারের মধুর প্রতিশোধ। জমে ওঠা শঙ্কার মেঘ সরিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় খেলার আশাও বাঁচিল রাখল ভালোভাবে।
Published : 25 Nov 2020, 03:09 AM
ঘরের মাঠে ‘এইচ’ গ্রুপে মঙ্গলবার রাতের ম্যাচে লাইপজিগকে ১-০ গোলে হারায় পিএসজি। প্রথম লেগে জার্মানির দলটির মাঠে ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল টমাস টুখেলের দল।
চার ম্যাচে দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে পিএসজি। সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল পার্থক্যে তিনে লাইপজিগ। অন্য ম্যাচে ইস্তানবুল বাসাকসেহিরকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
সফল স্পট কিকে একাদশ মিনিটে পিএসজিকে এগিয়ে নেন নেইমার। ডি-বক্সে আনহেল দি মারিয়া ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পেয়েছিল লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নরা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আগের পাঁচ ম্যাচে গোল না পাওয়ার ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এলেন নেইমার।
সমতায় ফিরতে পিএসজিকে চেপে ধরে লাইপজিগ। দ্বাদশ মিনিটে মার্সেল সাবিৎজারের শট, এরপর উপামেকানোর হেড ও ইউসুফ পোলসেনের শট খুঁজে পায়নি ঠিকানা।
পঞ্চদশ মিনিটে নেইমারের বাড়ানো বল ধরে কিলিয়ান এমবাপের শট পোস্টের অনেক বাইরে দিয়ে যায়। সাত মিনিট পর ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের তৈরি করে দেওয়া আরেকটি সুযোগ বাইরে মেরে নষ্ট করেন দি মারিয়া। ৩১তম মিনিটে এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের ফ্রি-কিকও ছিল না লক্ষ্যে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পিএসজির রক্ষণে চাপ দিলেও গোল আদায় করে নিতে পারেনি লাইপজিগ। ৪৯তম মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে এমিল ফোর্সবার্গ এবং দুই মিনিট পর বক্সের একটু ওপর থেকে সাবিৎজারের নেওয়া শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।
শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে সমতায় ফেরা গোল পায়নি লাইপজিগ। ৮৯তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে সাবিৎজারের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে আর ঘুরে দাঁড়ানো হয়নি জার্মানির দলটির।
৯০তম মিনিটে এমবাপে ও নেইমারকে তুলে মোইজে কিন ও পাবলো সারাবিয়াকে নামান টুখেল। যোগ করা সময়ে সারাবিয়ার বাড়ানো বল থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারেননি রাফিনিয়া। এরপর কিনের পাস ধরে সারাবিয়ার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
করোনাভাইরাসের কারণে ছোট হয়ে আসা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গত আসরে এক লেগের সেমি-ফাইনালে লাইপজিগকে ৩-০ গোলে উড়িয়েই ফাইনালে উঠেছিল পিএসজি। কিন্তু এ ম্যাচে লিগ ওয়ানের দলটিকে স্বরূপে দেখা যায়নি। পুরো ম্যাচে মাত্র দুটি শট লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা!