ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো পথ দেখালেও আগেভাগে নকআউট পর্বে ওঠার সুযোগ হাতছাড়া হতে বসেছিল। অনেক সুযোগ নষ্টের পরও শেষ পর্যন্ত হাসিমুখে মাঠ ছেড়েছে ইউভেন্তুস। আলভারো মোরাতার যোগ করা সময়ের গোলে ফেরেন্সভারোসকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পরের রাউন্ডে পা দিয়েছে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা।
Published : 25 Nov 2020, 02:57 AM
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ‘জি’ গ্রুপে ঘরের মাঠে ২-১ গোলে জিতেছে ইউভেন্তুস। মির্তো উজিনির গোলে পিছিয়ে পড়া ইউভেন্তুসকে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সমতায় ফেরান রোনালদো।
গ্রুপের অন্য ম্যাচে দিনামো কিয়েভের মাঠে ৪-০ গোলে জিতে শেষ ষোলোয় উঠেছে বার্সেলোনাও। চার ম্যাচে শতভাগ সাফল্যে কাতালান ক্লাবটির পয়েন্ট ১২। সমান ম্যাচে তিন জয়ে ইউভেন্তুসের পয়েন্ট ৯।
শুরুতে কিছুটা অগোছালো খেলা ইউভেন্তুস ম্যাচের চতুর্দশ মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায়। বাঁ দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে রোনালদোর নেওয়া ক্রসে পাওলো দিবালার ভলি পা দিয়ে কোনোমতে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক।
পাঁচ মিনিট পর গোল খেয়ে বসে মৌসুমের শুরু থেকে বারবার হোঁচট খাওয়া ইউভেন্তুস। ডান দিক থেকে তোকমাক এনগুয়েনের বাড়ানো বল এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে কিছুটা উঁচু হয়ে পেয়ে যান উজিনি। কোনাকুনি ভলিতে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন আলবেনিয়ার এই ফরোয়ার্ড।
৩৫তম মিনিটে একক নৈপুণ্যে সমতা টানেন রোনালদো। ডান দিকে হুয়ান কুয়াদরাদোর ছোট পাস ধরে খানিকটা আড়াআড়ি গিয়ে বাঁ পায়ের জোরালো শটে ঠিকানা খুঁজে নেন দলের সেরা তারকা। প্রতিযোগিতার রেকর্ড গোলদাতার আসরে এটি প্রথম গোল, মোট ১৩১টি।
৬০তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো তারা। তবে ফেদেরিকো বের্নারদেস্কির বুলেট গতির শট গোলরক্ষকের আঙুল ছুঁয়ে পোস্টে লেগে ফেরে। আট মিনিট পর মোরাতার দারুণ পাস ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে নিয়ন্ত্রণে নিতে গিয়ে বল হারিয়ে হতাশায় মুখ ঢাকেন রোনালদো।
সুযোগ নষ্টের ভিড়ে যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে পার্থক্য গড়ে দেন মোরাতা। ডান দিক থেকে কুয়াদরাদোর ক্রসে তার হেড গোলরক্ষক বরাবরই ছিল; কিন্তু গতির জন্য ঠেকাতে পারেননি, পায়ে লেগে বল গোললাইন পেরিয়ে যায়।
ইউরোপ সেরার মঞ্চে পরের পর্বে ওঠার আনন্দের পাশাপাশি ইউভেন্তুস শিবিরে যোগ হলো স্বস্তিও। সেরি আয় এখন পর্যন্ত টানা দুই ম্যাচ জিততে পারেনি নিজেদের খুঁজে ফেরা দলটি, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মিলল সেই স্বাদ।