দীর্ঘদিন ধরে নানা রোগে ভুগছিলেন বাদল। গত ১৬ নভেম্বর তার লিভার ক্যান্সার হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু আব্দুল গাফফার। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনিই প্রিয় সতীর্থের মৃত্যুর বিষয়টি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেন।
“আমরা তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতাল থেকে বাংলাদেশ মেডিকেলে নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু কোনো চেষ্টাতেই কিছু হলো না। আমাদের ছেড়ে বাদল চলে গেল। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।”
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। স্ত্রী, এক ছেলে ও মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।
শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার জন্য কিছু দিন আগে রাজধানীর আসগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল বাদলকে। পরবর্তীতে কিডনির জটিলতা দেখা দিলে তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।
২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহায়তায় সিঙ্গাপুরে মস্তিস্কে জটিল অস্ত্রোপচার করানো হয়েছিল বাদলের। সেরে উঠে দেশে ফিরলেও স্বাভাবিক চলাচলের ক্ষমতা হারান তিনি।
জাতীয় দলের হয়ে ১৯৮১ থেকে ৮৬ পর্যন্ত খেলা বাদল মোহামেডান স্পোর্টিংয়ের হয়ে ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত খেলেন। দলটির হয়ে জেতেন পাঁচটি লিগ শিরোপা।
বাদলের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইংয়ের পাঠানো বার্তায় বলা হয়, জাতীয় দলের সাবেক তারকা ফুটবলার ও ক্রীড়া সংগঠক বাদল রায় এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
আরও শোক জানিয়েছে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে), বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ), মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।