বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পথে ক্ষোভ, হতাশা ফুটে উঠে মেসির কথায়। বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না বার্সেলোনার। লা লিগায় শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় স্বাগতিক আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে খেলবে কাম্প নউয়ের দলটি। এর আগের দিন কুমানের সংবাদ সম্মেলনে বারবার এলো এই প্রসঙ্গ। সেখানে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াই দেখালেন কোচ।
“আমি বুঝতে পারছি, লিও খুবই হতাশ ছিল। আমার মতে, মেসির মতো কাউকে আরও সম্মান দেখানো উচিত। লম্বা ভ্রমণের পর তাকে অঁতোয়ান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা অসম্মানজনক। এগুলো বিতর্ক তৈরি করার জন্য করা হয়।”
“আমি এই দুইজনের মধ্যে একবারের জন্যও কোনো সমস্যা দেখিনি। তারা দুইজন ভালো কাজ করছে এমন যথেষ্ট ছবি আছে। আমি ঝামেলা করার পক্ষে নই। কেউ একজন কিছু বলেছে এবং যে কিনা বহু বছর ধরে গ্রিজমানের এজেন্ট নয়। জঘন্য।”
২০২১ সালের জুন পর্যন্ত বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তি আছে মেসির। নবায়ন নিয়ে এখনও কোনো আলোচনা শুরু হয়নি। ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলারের স্প্যানিশ ক্লাবটি ছাড়া নিয়ে শঙ্কা বাড়ছেই ক্রমশ। কি হবে না হবে ভবিষ্যতের উপরই ছেড়ে দিয়ে কুমান জানালেন, মেসিকে সমর্থন দিয়ে যাবেন তিনি।
“তার এখনও এক বছরের চুক্তি রয়েছে। আমার মতে, মেসির এখানে থাকা উচিত। ভবিষ্যতে কি হতে পারে, কেউ জানে না। আমার মেসিকে সমর্থন করতেই হবে। কারণ ১৫ ঘণ্টার ভ্রমণ শেষে তাদের চেক-আপের জন্য আরও এক ঘণ্টা লাগে। এরপর সংবাদকর্মীদের অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। সে ক্লাবের জন্য যা করেছে এটা অবিশ্বাস্য। সে নিজে তার ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত নিবে।”
কদিন আগে গ্রিজমানের সাবেক এজেন্ট এরিক ওলহাতস দাবি করেছিলেন, কাম্প নউয়ে চলে মেসির ‘ত্রাসের রাজত্ব’। তিনিই নাকি গত বছর আতলেতিকো থেকে আসা গ্রিজমানের কাম্প নউয়ে মানিয়ে নেওয়ার কাজ কঠিন করে তুলেছেন। এমন মন্তব্যে এমনিতেই বেশ বিরক্ত বার্সেলোনা অধিনায়ক।
এরপর দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলে ১৫ ঘণ্টার দীর্ঘ যাত্রা শেষে স্পেন ফিরে বিমানবন্দরে তাকে পড়তে হয় কর কর্মকর্তাদের জেরার মুখে। আবার সংবাদকর্মীদের কাছ থেকেও শোনেন গ্রিজমান বিষয়ে প্রশ্ন। সব মিলিয়ে হতাশায় মেসি বলেন, “ক্লাবে সব সমস্যার কারণ আমি, এটা শুনতে শুনতে আমি ক্লান্ত।”