কাতার ম্যাচ ‘সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা’

লম্বা বিরতির পর ফুটবলে ফেরাটা জয় দিয়ে রাঙিয়েছে বাংলাদেশ। সামনে এবার কঠিন প্রতিপক্ষ কাতার। এশিয়ান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের ফিরতি পর্বের ম্যাচটিকে তাই সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা হিসেবে দেখছেন জাতীয় দলের সহকারী কোচ স্টুয়ার্ট ওয়াটকিস।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Nov 2020, 02:50 PM
Updated : 18 Nov 2020, 02:50 PM

আগামী ৪ ডিসেম্বর কাতারের মাঠে ২০২২ বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের প্রিলিমিনারি রাউন্ডের দ্বিতীয় ধাপের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। প্রথম পর্বে নিজেদের মাঠে কাতারের কাছে ২-০ গোলে হেরেছিল দল।

মাঠের লড়াইয়ে নামার আগে কাতারে গিয়ে প্রস্তুতির জন্য কয়েকটা দিন সময় পাবে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার কাতারের উদ্দেশে রওনা দিবে দল। সেখানে গিয়ে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলার কথা রয়েছে জামাল-জীবনদের।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় প্রধান কোচ জেমি ডের বৃহস্পতিবার কাতারের উদ্দেশে বিমানে ওঠা অনিশ্চিত। তার অনুপস্থিতিতে সহকারী কোচ স্টুয়ার্ট দেখভাল করবেন দলের। বুধবার অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে কাতার ম্যাচের লক্ষ্য, পরিকল্পনা নিয়ে কথা বললেন ৫৪ বছর বয়সী এই কোচ।

“কাতার এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন। তাদের মানই আলাদা। আমি আর জেমি বাংলাদেশের কোচ হয়ে আসার পর এটিই হতে যাচ্ছে আমাদের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা। তবে ওখানে গিয়ে আমরা প্রস্তুতি নেওয়ার কিছুটা সময় পাব। ২৫ ও ২৮ তারিখকে সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে ধরা হয়েছে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচের। আমরা চাই, বাফুফে আমাদের প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য কঠিন দুটি প্রতিপক্ষ বাছাই করুক। জেমি এ ব্যাপারে বাফুফের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে।”

“পারফরম্যান্সের দিক দিয়ে এখনও আমরা শতভাগ নই। এখনও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। ইউরোপে প্রাক মৌসুম ছয় সপ্তাহ ধরে হয় সাধারণত। এই সময়ে খেলোয়াড়রা ফিটনেস ফিরে পায়। তবে তার আগে বিরতি থাকে ছয় থেকে সাত সপ্তাহ। কিন্তু আট মাস বিরতি বিরল ঘটনা। কাতারের বিপক্ষে ভালো খেলতে হলে আগামী কয়েকদিনে আমাদের নাটকীয় উন্নতি করতে হবে।”

নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। প্রথমটিতে ২-০ গোলের জয় এবং দ্বিতীয়টি গোলশূন্য ড্র। ওয়াটকিসের মনে হচ্ছে, সঠিক পথে আছে দল। তবে মনে করিয়ে দিলেন, শক্তিশালী কাতারকে আটকাতে হলে নিংড়ে দিতে হবে সর্বোচ্চটা।

“র‍্যাঙ্কিংয়ে আমাদের চেয়ে এগিয়ে থাকা দলের (নেপাল) বিপক্ষে দুই ম্যাচ খেললাম। একটায় জিতেছি, আরেকটি ড্র করেছি, কোনো গোলও হজম করিনি। বেশিরভাগ খেলোয়াড় মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছে। অর্থাৎ সঠিক পথেই এগিয়ে যাচ্ছি আমরা “

“কিন্তু আমরা ভালোমতোই জানি, কাতারে এরই মধ্যে তিন মাস ধরে মৌসুম চলছে। তারা প্রতি সপ্তাহে ফুটবল খেলছে। ফিটনেস আর তীক্ষ্ণতার দিক দিয়ে নিঃসন্দেহে তারা আমদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। এটাই আমাদের চ্যালেঞ্জ…আমরা কাতারে গিয়ে বাংলাদেশকে সেরা উপায়ে তুলে ধরব।”

প্রথম পর্বে নিজেদের মাঠে কাতারের বিপক্ষে হারা ম্যাচ থেকে অনুপ্রেরণা নিচ্ছেন ওয়াটকিস। ফিরতি লেগে দলের উপর দিয়ে যে আক্রমণের ঝড় বয়ে যাবে, মনে করিয়ে দিয়েছেন সেটাও।

“আফগানিস্তানকে কাতার  ৬-০ গোলে হারিয়েছে। ওই ম্যাচে কাতার সবগুলো সুযোগ কাজে লাগালে হয়ত দ্বিগুণ হতো গোলসংখ্যা। আমাদের চ্যালেঞ্জ যে কতো বড় এটাই তার প্রমাণ। আবার ভারত ওখানে গিয়ে ড্র করে এসেছে। ওই ম্যাচে কাতার সম্ভবত ১৩টি গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল। আমরাও আসলে তেমন কিছুর আশায় আছি।”