নাটকীয় হারের পরও টিকে থাকল ক্রোয়েশিয়া

টিকে থাকার লড়াইয়ে দ্বিতীয়ার্ধের প্রায় পুরোটা একজন কম নিয়ে খেলেও দারুণ লড়াই করে গেল ক্রোয়েশিয়া। শেষ সময়ে গোলরক্ষকের ভুলে গোল হজম করে ভেস্তে যেতে বসেছিল তাদের আশা। অন্য ম্যাচের ফল অনুকূলে থাকায় পর্তুগালের বিপক্ষে নাটকীয় হারের পরও ‘এ’ লিগে টিকে গেছে লুকা মদ্রিচের দল।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Nov 2020, 09:47 PM
Updated : 17 Nov 2020, 10:27 PM

মঙ্গলবার রাতে নেশন্স লিগে ‘এ’ লিগের তিন নম্বর গ্রুপের ম্যাচ ৩-২ গোলে জিতেছে পর্তুগাল। জোড়া গোল করেন রুবেন দিয়াস, অন্য গোলটি জোয়াও ফেলিক্সের। ক্রোয়েশিয়ার গোল দুটি করেন মাতেও কোভাচিচ।

দিনের অন্য ম্যাচে ফ্রান্সের বিপক্ষে ৪-২ গোলে হেরেছে সুইডেন। আগেই ফাইনালস নিশ্চিত করা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে এই হারে ‘বি’ লিগে নেমে গেছে দলটি। সুইডেন ও ক্রোয়েশিয়ার পয়েন্ট ৩ করে। গোল পার্থক্যে এগিয়ে তিনে থেকে আসর শেষ করেছে গত বিশ্বকাপের রানার্সআপ দলটি।

প্রতিপক্ষের মাঠে সুযোগ তৈরি করায় এগিয়ে ছিল পর্তুগাল। চতুর্দশ মিনিটে ব্রুনো ফের্নান্দেসের চমৎকার ক্রসে দিয়োগো জোতার হেড কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন ক্রোয়েশিয়ার এক খেলোয়াড়। পাঁচ মিনিট পর মারিও রুইয়ের দারুণ ক্রসে বিপজ্জনক জায়গা থেকে ঠিক মতো হেড করতে পারেননি ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো।

২৯তম মিনিটে এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। প্রতি-আক্রমণে সাদামাটা একটা ক্রস ঠিক মতো ক্লিয়ার করতে পারেননি রুবেন সেমেদো। পেয়ে যান মারিও পাসালিচ। তার কাছ থেকে বল পাওয়া কোভাচিচের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক রুই পাত্রিসিও। ফিরতি বলে চেলসি মিডফিল্ডার কোভাচিচের বুলেট গতির শট আর থামাতে পারেননি তিনি।

আট মিনিট পর ব্যবধান বাড়ানোর দারুণ একটি সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া। ইভান পেরিসিচের ক্রসে খুব কাছ থেকেও হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ইয়োসিপ ইয়োর্নাভিচ।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতা ফেরানোর সুযোগ হাতছাড়া করেন দিয়াস। ৪৮তম মিনিটে জোয়াও মৌতিনিয়োর ক্রসে খুব কাছ থেকে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি। চার মিনিট পর আর ভুল করেননি ম্যানচেস্টার সিটির এই ডিফেন্ডার। 

তবে এর মাঝে ঘটে যায় অনেক ঘটনা। রোনালদোকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন মার্কো রোগ।

রোনালদোর ফ্রি কিক দারুণ দক্ষতায় ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন ক্রোয়াট গোলরক্ষক। তবে বিপদমুক্ত করতে পারেননি তিনি। বল পেয়ে যান সেমেদো। তার কাছ থেকেই বল পেয়ে জাল খুঁজে নেন দিয়াস। দেশের হয়ে তার প্রথম গোল।

১০ জনের দলে পরিণত হওয়া ক্রোয়েশিয়াকে চেপে ধরে পর্তুগাল। ৬১তম মিনিটে এগিয়েও যায় তারা। জোতার কাছ থেকে বল পেয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন ফেলিক্স। হ্যান্ডবল হওয়ার পর বলের নিয়ন্ত্রণ পেয়েছিলেন জোতা। নেশন্স লিগে ভিএআর না থাকায় পরীক্ষা করে দেখার সুযোগ ছিল না রেফারির।

খেলার ধারার বিপরীতে ৬৫তম মিনিটে সমতা ফেরান কোভাচিচ। নিকোলা ভ্লাসিচের কাট ব্যাক ডি-বক্সের বাইরে পেয়ে আড়াআড়ি শটে বল জালে পাঠান তিনি।

৭৯তম মিনিটে ফ্রান্সিসকো ত্রিনকাওয়ের শট স্বাগতিক গোলরক্ষক ঠিকমতো ফেরাতে না পারায় সুযোগ আসে বের্নার্দো সিলভার সামনে। তার শট মাটি ছুঁয়ে ড্রপ খেয়ে ক্রসবারের উপর দিয়ে বাইরে চলে যায়। নষ্ট হয় সুবর্ণ সুযোগ।

পর্তুগিজদের একের পর এক আক্রমণ ঠেকিয়ে পয়েন্ট পাওয়ার আশা জাগিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু ৯০তম মিনিটে গোলরক্ষক একটি ক্রস দুই হাতে নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার সময় এক সতীর্থের গায়ে লেগে ফস্কে যায়। কাছেই দাঁড়িয়ে থাকা দিয়াস কাজে লাগান সুবর্ণ সুযোগ। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পর্তুগাল। 

১৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে দুই নম্বরে থেকে আসর শেষ করল দেশটি। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ফ্রান্স।