সেভিয়ায় মঙ্গলবার রাতে ড্র করলেই লক্ষ্য পূরণ হতো জার্মানির; কিন্তু ন্যূনতম প্রতিরোধও গড়তে পারেনি তারা। ‘এ’ লিগের ৪ নম্বর গ্রুপের ফাইনালসে ওঠার লড়াইয়ে ৬-০ গোলে জিতেছে স্পেন। তাদের অন্য তিন গোলদাতা আলভারো মোরাতা, রদ্রি ও মিকেল ওইয়ারসাবাল।
প্রথম রাউন্ডে গত সেপ্টেম্বরে জার্মানির মাঠে পিছিয়ে পড়ার পর যোগ করা সময়ের শেষ দিকের গোলে ১-১ ড্র করে ফিরেছিল স্পেন। চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন সেই প্রতিপক্ষকে এবার দাঁড়াতেই দিল না তারা।
প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে জার্মানির এটাই সবচেয়ে বড় ব্যবধানে পরাজয়।
ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই স্প্যানিশদের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছিল। তবে ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে সের্হিও রামোসের নিচু ফ্রি-কিক ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক মানুয়েল নয়ার।
মোরাতার নৈপুণ্যে সপ্তদশ মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোল পেয়ে যায় স্পেন। দূরের পোস্টে ফাবিয়ান রুইসের নেওয়া কর্নারে লাফিয়ে কোনাকুনি হেডে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ইউভেন্তুসে খেলা স্ট্রাইকার।
প্রবল চাপ ধরে রেখে ৩৩তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে স্পেন। লাইপজিগের মিডফিল্ডার দানি ওলমোর হেড ক্রসবারে লেগে ফেরার পর ফাঁকায় বল পেয়ে জোরালো শটে জালে পাঠান ম্যানচেস্টার সিটির তরুণ ফরোয়ার্ড তরেস।
একের পর এক আক্রমণ ঠেকাতে ব্যতিব্যস্ত জার্মানির যেন কোনো জবাব জানা ছিল না। ৩৮তম মিনিটে আরও একটি ধারালো আক্রমণ কোনোমতে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান ডিফেন্ডার ফিলিপ মাক্স। কোকের নেওয়া ওই কর্নারেই হেডে স্কোরলাইন ৩-০ করেন ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার রদ্রি।
দ্বিতীয়ার্ধের দশম মিনিটে জার্মানির ঘুরে দাঁড়ানোর আশা বলতে গেলে শেষ হয়ে যায়। পাল্টা আক্রমণে হোসে গায়ার পাস ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে অনায়াসে নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ গোলট করেন তরেস।
চার মিনিটের ব্যবধানে সহজ দুটি সুযোগ নষ্ট হয় স্পেনের। তরেসের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার পর গোলমুখে সতীর্থের বাড়ানো বলে পা ছোঁয়াতে পারেননি মোরাতা।
ছয় মিনিট পর সের্গে জিনাব্রির জোরালো শট ক্রসবারে লাগলে সান্ত্বনাসূচক গোলের দেখাও পায়নি ইওয়াখিম লুভের দল।
উল্টো শেষ দিকে তারা হজম করে আরেকটি। ৮৯তম মিনিটে হোসে গায়ার পাস পেয়ে ডান পায়ের শটে স্কোরলাইন ৬-০ করেন রিয়াল সোসিয়েদাদের উইঙ্গার ওইয়ারসাবাল।
ছয় ম্যাচে তিন জয় ও দুই ড্রয়ে ১১ পয়েন্ট নিয়ে পরের পর্বে পা রাখলো স্পেন। দুই জয় ও তিন ড্রয়ে জার্মানির পয়েন্ট ৯।
এক ম্যাচ করে কম খেলা ইউক্রেন ও সুইজারল্যান্ডের পয়েন্ট যথাক্রম ৬ ও ৩।