বাংলাদেশ-নেপাল দ্বিতীয় ম্যাচ ড্র

আগের ম্যাচের ছন্দ দ্বিতীয় দেখায় টেনে নিতে পারল না বাংলাদেশ। নাবীব নেওয়াজ জীবন, মাহবুবুর রহমান সুফিলদের আক্রমণে ধার না থাকায় মেলেনি গোল। নেপালও পারেনি আগের হারের পাল্টা জবাব দিতে। ড্র হয়েছে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচটি।

মোহাম্মদ জুবায়েরমোহাম্মদ জুবায়েরবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Nov 2020, 12:02 PM
Updated : 17 Nov 2020, 02:08 PM

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার দুই দলের দ্বিতীয় ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে হওয়া দুই ম্যাচের সিরিজে গত শুক্রবার প্রথম ম্যাচে ২-০ গোলে জিতেছিল বাংলাদেশ। 

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারীর মাঝেই স্টেডিয়ামে আট হাজার দর্শক উপস্থিতির অনুমতি দিয়েছিল বাফুফে। দর্শকদের প্রতি জানানো হয়েছিল সংক্রমণ এড়াতে নিরাপদ দুরত্ব মেনে বসার আহ্বান। প্রথম ম্যাচেই সেই নিয়ম মানার আগ্রহ দেখা যায়নি তেমন। আর দ্বিতীয় ম্যাচে তো ছিল না সেসবের ছিটোফোটাও। উল্টো গ্যালারি ছিল দর্শকে ঠাসা। শুরুতে একটু ফাঁকা থাকলেও ম্যাচ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে দর্শক সমাগম।

সেরা একাদশে দুটি পরিবর্তন আনেন বাংলাদেশ কোচ; রিয়াদুল হাসানের জায়গায় ইয়াসিন খান ও গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর জায়গায় আশরাফুল ইসলাম রানা। অন্যদিকে, পাঁচটি পরিবর্তন এনে একাদশ সাজায় নেপাল।

রক্ষণ জমাট রেখে সুযোগ পেলে দুই দলই আক্রমণে উঠছিল। কিন্তু প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে তেমন কোনো পরীক্ষা নিতে পারছিল না কেউ। দ্বিতীয় মিনিটে সাদ উদ্দিনের ক্রস জমে যায় নেপাল গোলরক্ষকের গ্লাভসে। একটু পর তেজ তামাংয়ের দূরপাল্লার শট সহজেই গ্লাভসে নেন এক ম্যাচ পর ফেরা রানা।

প্রথমার্ধে লেফট উইংয়ে নিষ্প্রাণ ছিলেন মোহাম্মদ ইব্রাহিম। যা একটু আক্রমণ হয়েছে রাইট উইং দিয়ে, সাদ উদ্দিনের হাত ধরে। প্লে-মেকারের ভূমিকায় জীবন দারুণ করলেও মেলেনি গোলের দেখা।

২৩তম মিনিটে জীবনের ছোট পাস ধরে ডি-বক্সের বাইরে থেকে সুমন রেজার শট ক্রসবারের একটু ওপর দিয়ে যায়। সাত মিনিট পর প্রতি-আক্রমণ থেকে ভালো একটি সুযোগ এসেছিল। জীবনের ক্রসে দুর্বল শটে হতাশ করেন সুমন।

আগের ম্যাচে দারুণ গোল করা সুফিলকে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সুমনের বদলি নামায় বাংলাদেশ। ৫১তম মিনিটে পায়ের কারিকুরিতে ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা বিশ্বনাথ ঘোষ উড়িয়ে মারেন।

চার মিনিট পর শিরিং গুরংয়ের বড়ানো বল ছোট ডি-বক্সে সুজল শ্রেসঠা পাওয়ার আগে বিপদমুক্ত করেন তপু বর্মন। এরপর প্রতি-আক্রমণে ওঠা সুফিল বলের নিয়ন্ত্রণ হারান শেষ মুহূর্তে। বল তার পায়ে লেগে বেরিয়ে গেলেও রেফারি দেন কর্নার। ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় নেপালকে।

৫৯তম মিনিটে সুফিলের ছোট পাসে ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি মানিক মোল্লা। দুই মিনিট পর মানিক ও ইব্রাহিমকে তুলে বিপলু আহমেদ ও সোহেল রানাকে নামান ভারপ্রাপ্ত কোচ স্টুয়ার্ট ওয়াটকিস। সতীর্থের থ্রু বল ধরে ৬৭তম মিনিটে বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে ঢুকেও পোস্টে শট নিতে পারেননি জীবন।

দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে বড় বাঁচা বেঁচে যায় বাংলাদেশ। সতীর্থের বাড়ানো বলে নবযুগ শ্রেসটা মাথায় ছোঁয়ানোর পর বল রানাকে ফাঁকি দিয়ে দুরের পোস্টে লেগে ফিরে।