ক্যান্সারে আক্রান্ত সাবেক ফুটবলার বাদল রায়

দীর্ঘদিন ধরে নানা রোগে ভুগছেন বাদল রায়। এর মধ্যেই এলো আরেকটি বড় দুঃসংবাদ। প্রাণঘাতী লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন জাতীয় দলের এই সাবেক তারকা ফুটবলার।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Nov 2020, 06:48 AM
Updated : 16 Nov 2020, 09:33 AM

শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার জন্য কিছু দিন আগে রাজধানীর আসগর আলী হাসপাতালে ভর্তি হন বাদল। পরবর্তীতে কিডনিতে জটিলতা দেখা দিলে তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তার লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ব্যাপারটি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন বাদলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু আব্দুল গাফফার।

“আমাদের জন্য অনেক দুঃখের দিন। অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা গতকাল জানিয়েছেন, বাদল লিভার ক্যান্সারের চতুর্থ স্তরে আছে। তারা বলেছেন এটা তার শরীরের অনেক অংশে ছড়িয়ে পড়েছে।”

“ডাক্তাররা তাকে বাসায় পাঠিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। আমরা ও তার স্ত্রী-সন্তানরা সম্মিলিতভাবে তাকে হাসপাতালেই রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজ তার ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে। চেষ্টা করছি তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার।”

২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহায়তায় সিঙ্গাপুরে মস্তিস্কে জটিল অস্ত্রোপচার করে আসেন বাদল। সেরে উঠে দেশে ফিরলেও স্বাভাবিক চলাচলের ক্ষমতা হারান তিনি। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা আশা ছেড়ে দিলেও সাবেক ফুটবলার গাফ্ফার জানান, বন্ধু-স্বজনরা বাদলকে নিয়ে হাল ছাড়ছেন না।

ছবি: ফেইসবুক

“বাদল ৯০ মিনিটের খেলোয়াড়। সে লড়াই করবে (ক্যান্সারের বিরুদ্ধে)। ডাক্তাররা আশা ছেড়ে দিলেও আমরা আশা ছাড়ছি না। আপনারা সবাই বাদলের জন্য দোয়া করবেন। আপনাদের মাধ্যমে বাদলের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।”

গত অগাস্টে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া বাদল অক্টোবরে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনে সভাপতির পদে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। পরে শারীরীক দুর্বলতার কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

জাতীয় দলের হয়ে ১৯৮১ থেকে ৮৬ পর্যন্ত খেলা বাদল মোহামেডান স্পোর্টিংয়ের হয়ে ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত খেলেন। দলটির হয়ে জেতেন পাঁচটি লিগ শিরোপা।

২০০৯ সালে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পাওয়া বাদল বর্তমানে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) সহ-সভাপতির দায়িত্বেও আছেন। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহ-সভাপতি ছিলেন তিনি।