‘নিজেকে প্রমাণ করতে পারলে সুযোগ পাবই’

বদলি-শব্দটা সঙ্গে লেগে আছে ২০১৮ সালে জাতীয় দলে অভিষেকের ক্ষণ থেকে। সর্বশেষ নেপাল ম্যাচেও বদলি নেমে গোল করেছেন। তবে মাহবুবুর রহমান সুফিল বিষয়টি নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন। বসুন্ধরা কিংসের এই ফরোয়ার্ডের ভাবনা শুধু নিজেকে মেলে ধরার। তার দৃঢ় বিশ্বাস, সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে পারলে সেরা একাদশে জায়গা মিলবে এমনিতেই।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Nov 2020, 01:49 PM
Updated : 15 Nov 2020, 01:50 PM

নেপালের বিপক্ষে আগামী মঙ্গলবার দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ম্যাচটি সামনে রেখে রোববার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলন সেরেছে দল। অনুশীলন শেষে ২-০ ব্যবধানে জেতা প্রথম ম্যাচে দারুণ গোল করা সুফিল জানালেন সেরা একাদশে জায়গা না পাওয়া নিয়ে তার ভাবনা।

“আমি সেরা একাদশে খেলার জন্য এগুলো করছি না। আমাকে পাঁচ বা ১০ মিনিট যা-ই খেলার সুযোগ দিক, আমি যেন নিজের সেরাটা দিতে পারি। যদি সেখান থেকে কোচ পছন্দ করে, আমাকে সেরা একাদশে দিবে। কোচ হয়ত মনে করে আমি পাঁচ বা ১০ মিনিট খেলে পার্থক্য গড়ে দিতে পারি, সেজন্য হয়ত আমাকে বদলি হিসেবে সুযোগ দেয়। আমিও চেষ্টা করি সেরাটা দেওয়ার।”

“আমি মনে করি না আমাকে বেস্ট ইলেভেনে দিতে হবে। (সেরা একাদশে খেলার) স্বপ্ন থাকবে, কিন্তু আমি মনে করি সেটা ভেতরে রাখতে হবে। যদি আমি নিজেকে প্রমাণ করতে পারি, তাহলে কোচ সুযোগ দিবেই।”

প্রথম ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ধুঁকছিল দল। আক্রমণে ছিল না প্রথমার্ধের ধার। খেলার ধারার বিপরীতে ৮০তম মিনিটে সোহেল রানার বাড়ানো বল ধরে একক প্রচেষ্টায় ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সুফিল। গোলের জন্য ২১ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড ধন্যবাদ জানালেন ক্লাব কোচ অস্কার ব্রুসনকেও।

“এজন্য আমি মনে করি, ধন্যবাদ দিতে হবে অস্কার ব্রুসনকে। শেষ দেড় মাস কিংসের অনুশীলন হয়েছে এগুলো নিয়ে। তিনি আমাদের ফরোয়ার্ডদের নিয়ে, ফিনিশিং নিয়ে আলাদাভাবে কাজ করেছেন।”

“(প্রথম ম্যাচে) সুমন রেজা নতুন নেমেছিল। এ কারণে ঠিকঠাকভাবে হয়ত সে পারেনি (কোচের নির্দেশনা অনুযায়ী খেলতে)। এ কারণে জেমি বিরতির সময় আমাকে বলেছিলেন, ওদের নাম্বার ফোরের লং পাসটা যেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর স্কোর যেন দ্রুত করতে পারি, সেটাও বলে দিয়েছিলেন।”

প্রথম ম্যাচে একাধিক গোলের সুযোগ নষ্ট হয়েছে। রোববারের অনুশীলনে শুটিং ও ফিনিশিংয়ে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন সুফিল।

“একজন শুটিংয়ে গেলে অন্যজনকে ফলো থ্রুতে যেতে হবে। আগের ম্যাচে যেটা প্রোপারলি হয়নি। যে কারণে অনুশীলনে আজকে এটা নিয়ে কাজ হয়েছে।”

রোববার সকালে প্রধান কোচ জেমি ডের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছে। তবে আইসোলেশনে থাকা কোচ ইতিবাচক বার্তা দিয়েছেন বলেও জানালেন তিনি।

“কোচ আমাদের ইতিবাচক বার্তা দিয়েছেন। কেননা, সে আগে থেকে বুঝতে পেরেছে তার উপস্বর্গ ছিল। সেজন্য আগে থেকে আমাদের বলেছে, ‘এগুলো নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নাই।‘”

“জেমির থাকাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি। আজকে সে মাঠে নাই, এটা ভাবতেই আমাদের খারাপ লাগছে। হয়ত আজকে নতুন কিছু শেখানোর জন্য সে প্রস্তুত ছিল। সেটা সে করতে পারেনি। তবে, আশা করি এটা নিয়ে তেমন কোনো সমস্যা হবে না।”