উয়েফা নেশন্স লিগে বাসেলের সেন্ট জাকব-পার্কে গত শনিবার রাতে ‘এ’ লিগের ৪ নম্বর গ্রুপে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ১-১ ড্র করে স্পেন। আন্তর্জাতিক ফুটবলে ইউরোপীয়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়ার দিনটি রাঙাতে দ্বিতীয়ার্ধে দুইবার সহজ সুযোগ পেয়েছিলেন রামোস। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে আগের ২৫টি সফল স্পট কিক নেওয়া এই রিয়াল মাদ্রিদ তারকাকে এবার দুইবারই ব্যর্থ করে দেন সুইস গোলরক্ষক ইয়ান সমের।
ম্যাচের শেষ দিকে ‘ওপেন প্লে’ থেকেও গোল পেতে পারতেন রামোস, কিন্তু তার শট লক্ষ্যে থাকেনি। শেষ সময়ে জেরার্দ মোরেনোর গোলে হার এড়ায় এনরিকের দল।
রামোসের এমন অবিশ্বাস্য ব্যর্থতায় জয় হাতছাড়া হলেও তা এই খেলোয়াড়ের ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন এনরিকে। অভিজ্ঞ এই ডিফেন্ডারের ওপর দলের নির্ভরতারও কোনো হেরফের হবে না। ম্যাচ শেষে এই স্প্যানিশ কোচ বলেন, এই ম্যাচেই দল যদি আরও পেনাল্টি পেত, সেগুলোও নিতেন রামোসই।
“সের্হিও রামোসের এখন সমালোচনা করাটা অন্যায় হবে। যদি আমরা তিন, চার বা তার চেয়েও বেশি পেনাল্টি পেতাম, সবগুলোই সে নিতো। পেনাল্টি নেওয়ার জন্য আমাদের একটা তালিকা করা আছে এবং রামোস সেই তালিকার প্রথমে। সে স্পট কিক থেকে টানা ২৫টি গোল করেছে, তাই আমরা এখন তার সমালোচনা করতে পারি না।”
ডিফেন্ডার হিসেবে দারুণ কীর্তি আছে দেশ ও ক্লাবের হয়ে সম্ভাব্য সব বড় শিরোপা জেতা ৩৪ বছর বয়সী এই ফুটবলারের। ডিফেন্ডার হিসেবে লা লিগায় গত জুনে বার্সেলোনার সাবেক খেলোয়াড় ও বর্তমান কোচ রোনাল্ড কুমানের ৬৭ গোলের রেকর্ড ছাড়িয়ে যান তিনি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে ডিফেন্ডারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৩ গোলের রেকর্ডও রামোসের।