বাসেলের সেন্ট জাকব-পার্কে শনিবার রাতে ‘এ’ লিগের ৪ নম্বর গ্রুপের ম্যাচ শেষ হয়েছে ১-১ সমতায়। প্রথমার্ধে সুইজারল্যান্ডকে এগিয়ে নিয়েছিলেন ফ্রাউলার।
প্রতিপক্ষের মাঠে শুরুতে বল দখলে এগিয়ে থাকা স্পেনই পায় প্রথম ভালো সুযোগ। সতীর্থের ব্যাক হিলে ডি-বক্সে বল পান ফেররান তরেস। ম্যানচেস্টার সিটির অরক্ষিত এই ফরোয়ার্ড শট রাখতে পারেননি লক্ষ্যে।
প্রতি-আক্রমণনির্ভর ফুটবল খেলা সুইজারল্যান্ড ১৯তম মিনিটে প্রায় এগিয়েই যাচ্ছিল। ফাবিয়ান রুইসের ভুলে বিপজ্জনক জায়গায় বল পেয়ে যান জেরদান শাচিরি। দারুণ দক্ষতায় লিভারপুল ফরোয়ার্ডের চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন গোলরক্ষক উনাই সিমোন।
তিন মিনিট পর ব্যবধান বাড়তে দেননি তিনি। রিকার্দো রদ্রিগেজের ফ্রি কিক কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান সিমোন।
৩৮তম মিনিটে ফাবিয়ানের দূরপাল্লার শট ঝাঁপিয়ে কোনোমতে ঠেকান সুইস গোলরক্ষক। সাত মিনিট পর একইভাবে ব্যর্থ করে দেন মিকেল ওইয়ারসাবালের বুলেট গতির শট। কর্নার থেকে সুযোগ পেয়েছিলেন সের্হি রবের্তো। অরক্ষিত এই ডিফেন্ডার পারেননি শট লক্ষ্য রাখতে।
৫৫তম মিনিটে খেলার ধারার বিপরীতে ব্যবধান প্রায় বাড়িয়ে ফেলছিল সুইজারল্যান্ড। বেশ এগিয়ে যাওয়া কিপারকে এড়িয়ে শট নেন সেফেরোভিচ। গোললাইন থেকে ফিরিয়ে স্পেনের ত্রাতা রামোস।
প্রতি আক্রমণ থেকে ৬৪তম মিনিটে আবার সুযোগ আসে স্বাগতিকদের সামনে। তবে সময় মতো এমবোলার শট ঠেকিয়ে দেন ডিফেন্ডার পাউ তরেস।
৭৯তম মিনিটে বড় একটা ধাক্কা খায় সুইজারল্যান্ড। আলভারো মোরাতাকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন নিকো এলভেদি। দ্বিতীয় পেনাল্টি পায় স্পেন।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে ইউরোপীয়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৭৭ ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়া রামোস এবারও ব্যর্থ স্পট কিক থেকে গোল করতে। ঠিক যেন আগের শটের পুনরাবৃত্তি। আগেরবারের চেয়েও সহজেই তার শট ফেরান সমের।
পাঁচ ম্যাচে দুই জয় ও দুই ড্রয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে নেমে গেছে স্পেন। দিনের অন্য ম্যাচে ইউক্রেনকে ৩-১ গোলে হারানো জার্মানি ৯ পয়েন্ট নিয়ে উঠে গেছে শীর্ষে।
৬ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে ইউক্রেন, ৩ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে সুইজারল্যান্ড।