চোটে ছিটকে গেলেন গোলরক্ষক শহীদুল

অনেক দিন ধরেই হালকা ব্যথা অনুভব করছিলেন কোমরে। এ ডাক্তার, ও ডাক্তার করে বেড়িয়েছেন কিন্তু কেউই ধরতে পারেননি আসল সমস্যা। শহীদুল আলম সোহেলও টের পাননি কোমরের হাড়ে হালকা চিড় ধরেছে। এই চোটেই নেপালের বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচ এবং কাতারের বিপক্ষে আসন্ন বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দল থেকে ছিটকে গেছেন এ গোলরক্ষক।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Nov 2020, 03:46 PM
Updated : 14 Nov 2020, 04:09 PM

শহীদুলের কোমরের চোটের বিষয়টি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন জাতীয় দলের কোচ জেমি ডে। আবাহনী লিমিটেডের এই গোলরক্ষককে পুরোপুরি বিশ্রামে থাকার নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি।

“স্ক্যানের পর ওর কোমরের পুরনো একটা চোট ধরা পড়েছে। এই চোট থেকে সেরে উঠতে ওকে লম্বা সময়ের জন্য বিশ্রামে থাকতে হবে। এই সময়ে ওকে পুরোপুরি বিশ্রামে থাকার পরামর্শ এবং নির্দেশনা দিয়েছি।”

দীর্ঘদিন কোমরে অস্বস্তি বোধ করার বিষয়টি নতুন ফিজিও ইভান হাজলগকে জানিয়েছিলেন শহীদুল। তার পরামর্শেই স্ক্যান করিয়েছিলেন বলে জানালেন ৩২ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক।

“এর আগেও ডাক্তার দেখিয়েছি কিন্তু কেউই সমস্যাটা ধরতে পারেনি। আমিও বুঝতে পারিনি সমস্যাটা এই পর্যায়ে গেছে। নতুন ফিজিওর সঙ্গে কথা বলে স্ক্যান করালাম। কাল রিপোর্ট পাওয়ার পর ফিজিও সেটা অস্ট্রেলিয়ায় তার পরিচিত এক ডাক্তারের কাছে পাঠিয়েছিল। উনি বলেছেন দুই মাসের বিশ্রামে থাকতে।”

“প্রথম চার সপ্তাহে পুরোপুরি বিশ্রাম নিতে বলেছেন। এরপর হালকা কিছু ফিজিওথেরাপি নিতে হবে। এক মাস পর আবারও পরীক্ষা করাতে হবে। কোচও বলেছেন, এখনই যদি পুরোপুরি চিকিৎসা নয় হয়, তাহলে পরে বড় সমস্যায় পড়তে পারি।”

শনিবারই জাতীয় দলের হোটেল ছেড়ে আবাহনী ক্লাবে চলে গেছেন শহীদুল। আপাতত সেখানেই চলবে তার পুনর্বাসন। করোনাভাইরাসের থাবায় আট মাস পর খেলা ফিরলেও দলছুট হয়ে যাওয়ায় হতাশ তিনি।

“নেপাল ও কাতারের বিপক্ষে খেলতে পারব না বলে খারাপ লাগছে। কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ফিরতে চাই।”

আগামী মঙ্গলবার নেপালের বিপক্ষে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এর দুদিন পর কাতারের উদ্দেশে রওনা দেবে দল। সেখানে ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজকদের বিপক্ষে ৪ ডিসেম্বর এশিয়া অঞ্চলের বাছাইয়ের প্রিলিমিনারি রাউন্ডের দ্বিতীয় ধাপের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।