বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে গত শুক্রবার প্রথম প্রীতি ম্যাচে ২-০ গোলে নেপালকে হারায় বাংলাদেশ। দশম মিনিটে জীবন দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ৮০তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সুফিল।
দুটি গোলের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন সাবেক তারকা ফরোয়ার্ড সালাউদ্দিন। শনিবার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় ম্যাচের নবম মিনিটে বিশ্বনাথ ঘোষের থ্রো ইনে তপু হেড করতে না পারা নিয়ে জানান হতাশা।
“ভালো ম্যাচ হয়েছে। দুই দলই ভালো খেলেছে। প্রথমার্ধে বাংলাদেশ খুবই ভালো খেলেছে। বিশেষ করে প্রথমার্ধে আরও দুই-একটা গোল হওয়া উচিত ছিল। তপু বর্মনের হেডটা হতে পারত। কেন মিস করছে, ওকে জিজ্ঞেস করলে বলতে পারবে। ও গোলটা করলে ম্যাচটা ফিনিশ হয়ে যেতে পারত। কিন্তু এটাই ফুটবল।”
“করোনাভাইরাসের কারণে অনেক সময় পর ফিরে খেলোয়াড়রা নিজেদের অনেকটা রিকভারি করেছে। ভালো ম্যাচ হয়েছে। একটু সময় লাগবে। এটাই আমরা প্রত্যাশা করছিলাম অনেক দিন ধরে।”
ফরোয়ার্ডদের গোল না পাওয়ার সমস্যা পুরনো। তবে নেপাল ম্যাচ দেখার পর সালাউদ্দিনের মনে হচ্ছে এমন গোল তার উত্তরসূরিদের আরও অনেক আগেই পাওয়া উচিত ছিল।
“(এমন) ফিনিশিং আগেই হওয়া উচিত ছিল। কেননা এটা নিয়ে আগে থেকে কোচরা কাজ করছিলেন। খেলোয়াড়দেরকেই গোল করতে হবে। এটা কোচ বা আমি করে দিতে পারব না। কালকে তারা গোল করার মতো আত্মবিশ্বাসী ছিল। দুটি সুন্দর গোল হয়েছে। দুটিই মানসম্পন্ন গোল। এ গোল করার মেধা ওদের আছে। যে কারণেই হোক ওরা এটা আগে করতে পারত না।”
এই ছন্দ, জয়ের ধারাবাহিকতায় থাকলে দ্রুতই বাংলাদেশ দল অনেক উঁচুতে পৌঁছাবে বলেও বিশ্বাস সালাউদ্দিনের।
“বিশেষ করে গণমাধম্যম এক-দেড় মাস ওদের যে সমর্থন দিয়েছে, তাতে ওদের আত্মবিশ্বাস আরও বেড়েছে। কাল দর্শকের সমর্থনও ছিল। এর সঙ্গে যদি সরকার যদি সমর্থন দেয়, তাহলে আমি মনে করি এটা সময়ের ব্যাপার…বাংলাদেশ শীর্ষ পর্যায়ের দল হবে।”