আমরা যন্ত্র নই: ব্রাজিলের সিলভা

ক্লাব ও আন্তর্জাতিক ফুটবলের ঠাসা সূচিতে গড়ে প্রায় তিন দিন পরপর একটি করে ম্যাচ খেলতে হচ্ছে। খেলোয়াড়দের ফিটনেসে এর প্রভাব পড়ছে ভীষণ। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নতুন চ্যালেঞ্জে মাঠে নামার আগে যেমন চোটে জর্জরিত ব্রাজিল দল। কঠিন এই পরিস্থিতি ভাবিয়ে তুলেছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার চিয়াগো সিলভাকে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Nov 2020, 10:39 AM
Updated : 11 Nov 2020, 11:07 AM

করোনাভাইরাসের ধাক্কায় গত মৌসুমে লম্বা সময় ফুটবল বন্ধ থাকায় শুরু হয়েছে ঠাসা সূচির জটিলতা। তিন দিন পরপর ক্লাবের হয়ে ম্যাচ তো আছেই, সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিরতিতে কোনো কোনো দলকে ৭ দিনে খেলতে হচ্ছে তিনটি ম্যাচ। স্বাভাবিকভাবেই এতে খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার আশঙ্কা বেড়ে গেছে বহুগুণ।

২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপের বাছাইয়ে বাংলাদেশ সময় আগামী শনিবার ভেনেজুয়েলার মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। এর চার দিন পর উরুগুয়ের মাঠে খেলবে তিতের দল।

গত মাসের শেষ দিকে দলটিতে বড় ধাক্কা হয়ে আসে নেইমারের চোট। পায়ের পেশির চোটে ভেনেজেুয়েলার বিপক্ষে খেলতে পারবেন না তিনি। অবশ্য দলের সঙ্গেই আছেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার। উরুগুয়ে ম্যাচের আগে পুরোপুরি সেরে উঠলে তাকে খেলাতে পারেন কোচ।

চোটের কারণে ছিটকে গেছেন বার্সেলোনার মিডফিল্ডার ফিলিপে কৌতিনিয়ো ও লিভারপুলের মিডফিল্ডার ফাবিনিয়ো। আর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কাসেমিরো, এদের মিলিতাও ও আলেক্স তেলেস।

ম্যাচ দুটি খেলতে বর্তমানে জাতীয় দলের সঙ্গে আছেন চেলসির ডিফেন্ডার সিলভা। সেখানেই এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফুটবলারদের ওপর ঠাসা সূচির বিরূপ প্রভাব নিয়ে নিজের অভিমত জানান ৩৬ বছর বয়সী সিলভা।

“প্রতিনিয়ত আমাদের নতুন চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত হতে হচ্ছে। কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে খেলোয়াড় হারাচ্ছি আমরা। আবার চোট পেয়েও অনেকে ছিটকে যাচ্ছে, কারণ আমরা অনেক বেশি ম্যাচ খেলছি। আমরা যন্ত্র নই।”

“সাম্প্রতিক সময়ের গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যস্ত সূচিতে (প্রতি তিন দিনে এক ম্যাচ) প্রতি চার-পাঁচ ম্যাচ পর খেলোয়াড়রা চোটে পড়ছে। বিষয়টি আমাদের জন্য খুবই দুর্ভাবনার।”

চোট জর্জর ব্রাজিল দলের ইতিবাচক দিক বলতে সুস্থ হয়েছেন মূল গোলরক্ষক লিভারপুলের আলিসন ও ম্যানচেস্টার সিটির স্ট্রাইকার গাব্রিয়েল জেসুস।