মেস্তায়া স্টেডিয়ামে রোববার রাতে লা লিগার ম্যাচে ৪-১ গোলে হারে রিয়াল। এবারের লিগে শিরোপাধারীদের এটা দ্বিতীয় হার, শেষ চার ম্যাচে দ্বিতীয়।
এই প্রথম নিজেদের ইতিহাসে এক ম্যাচে পেনাল্টি থেকে তিন গোল হজম করে রিয়াল। তিনটি গোলই করেন কার্লোস সোলের। অন্য গোলটি ছিল আত্মঘাতী। তবে করিম বেনজেমার গোলে শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিল রিয়াল।
চোট সমস্যা আগে থেকেই ভোগাচ্ছে রিয়ালকে। করোনাভাইরাসও হানা দিয়েছে স্পেনের সফলতম দলটিতে। সবশেষ ছিটকে গেছেন দলের গুরুত্বপূর্ণ দুই সদস্য কাসেমিরো ও এদেন আজার। ভালেন্সিয়া ম্যাচে সব মিলিয়ে ছয় জন খেলোয়াড়কে পাননি জিদান। ম্যাচ শেষে তিনি বললেন, এগুলো হারের অজুহাত হতে পারে না।
“আমরা এক হাজার অজুহাত খুঁজে পেতে পারি এবং এটি ব্যাখ্যা করতে চাইলে প্রত্যেকে কোনো না কোনো কারণ খুঁজে পেতে পারে। তবে আমাদের অজুহাত খুঁজতে যাওয়া উচিত নয়; কারণ এই দলের সবাই রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়।”
“আমরা প্রথম আধা ঘণ্টা ভালো খেলেছিলাম, তবে স্কোরবোর্ডে সমতা আসার পর ম্যাচ পুরোপুরি পাল্টে যায়। এমনটা আমাদের বেলায় অনেকবার ঘটেছে এবং আমি এটা পছন্দ করি না।”
ম্যাচের মাঝপথে হঠাৎ করে খেলোয়াড়দের ছন্দ হারিয়ে ফেলাটা ভাবাচ্ছে রিয়াল কোচকে।
“কি ভুল হচ্ছে সেটা আমাদের বিশ্লেষণ করতে হবে। কারণ যে কোনো ছোট বিষয় আমাদের কাজ অনেক কঠিন করে ফেলতে পারে। প্রথম গোলটা হজমের পর আমরা খেলায় ফিরতে পারছি না। আজ অনেক কিছুই আমাদের বিপক্ষে গেছে।”
ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই ফুটবলার অবশ্য রেফারিকে দায় দিচ্ছেন না। কোচ হিসেবে হারের দায় নিচ্ছেন নিজের কাঁধেই।
“সবকিছু দেখার জন্য রেফারি ছিলেন। তিনটি পেনাল্টি ও একটি আত্মঘাতী গোল আমাদের জন্যে একটু বেশিই হয়ে গিয়েছিল। আমি কোচ, তাই দায়টা আমার এবং আমাকেই সবকিছুর সমাধান বের করতে হবে।”
আট ম্যাচে পাঁচ জয় ও এক ড্রয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে নেমে গেছে রিয়াল।
নয় ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল সোসিয়েদাদ, ১৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ভিয়ারিয়াল। সাত ম্যাচে আতলেতিকো মাদ্রিদের পয়েন্ট ১৭। সমান ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে আটে বার্সেলোনা।
আগামী ২১ নভেম্বর নিজেদের পরবর্তী ম্যাচে রিয়ালের প্রতিপক্ষ ভিয়ারিয়াল।