প্রতিপক্ষের মাঠে শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ৩-২ গোলে জিতেছে বায়ার্ন। গোল করে ও করিয়ে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন রবের্ত লেভানদোভস্কি।
রয়েসের গোলে ডর্টমুন্ড এগিয়ে যাওয়ার পরপরই সমতা টানেন ডাভিড আলাবা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই রবের্ত লেভানদোভস্কির গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। শেষ দিকে ব্যবধান বাড়ান লেরয় সানে। আর্লিং হলান্ড ব্যবধান কমিয়ে লড়াই জমিয়ে তুললেও হার আসরে দ্বিতীয় হার এড়াতে পারেনি তারা।
গোল মেশিন লেভানদোভস্কি ২৪তম মিনিটে জালে বল পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু পোলিশ এই ফরোয়ার্ড অফসাইডে থাকায় ভিএআরের সাহায্যে গোল দেননি রেফারি।
এর আগে-পরে ভালো দুটি সুযোগ পেয়েছিল বায়ার্ন। কিন্তু রোমান বুরকির বাধা পেরুতে পারেনি তারা। লেয়ন গোরেটস্কার হেড ঝাঁপিয়ে ঠেকানোর পর তার শটও রুখে দেন এই সুইস গোলকিপার।
৪৫তম মিনিটে লক্ষ্যে প্রথম শট নেয় ডর্টমুন্ড। তা থেকেই এগিয়ে যায় তারা। রাফায়েল গেররেরোর পাস ফাঁকায় পেয়ে আট গজ দূর থেকে উঁচু শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন জার্মান ফরোয়ার্ড রয়েস।
বুদ্ধিদীপ্ত ফ্রি-কিকে বিরতির আগেই সমতায় ফেরে বায়ার্ন। যোগ করা সময়ে লেভানদোভস্কি ডামি করার পর ছোট করে শট নেন সের্গে জিনাব্রি, বল থামান টমাস মুলার আর জোরালো শট নেন আলাবা। বল আরেক জনের পিঠে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়।
দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে লেভানদোভস্কির নৈপুণ্যে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। ডি-বক্সে মাটস হুমেলসের বাধা এড়িয়ে হেডে আসরে নিজের ১১তম গোলটি করেন তারকা স্ট্রাইকার।
৮০তম মিনিটে লেভানদোভস্কির পাস ধরে ১৮ গজ দূর থেকে জোরালো শটে ব্যবধান বাড়িয়ে জয়ের সম্ভাবনা জোরালো করেন সানে।
তিন মিনিট পর নরওয়ের স্ট্রাইকার হলান্ড ব্যবধান কমিয়ে নাটকীয়তার আভাস দেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য বায়ার্নের জয়রথ আটকাতে পারেনি তারা।
সাত ম্যাচে ছয় জয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বায়ার্ন। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে লাইপজিগ। তিন নম্বরে থাকা ডর্টমুন্ডের পয়েন্ট ১৫।