‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচে বুধবার রাতে ২-১ গোলে জিতেছে লাইপজিগ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গত আসরের সেমি-ফাইনালে পিএসজির বিপক্ষে ৩-০ গোলে হেরে থেমেছিল তাদের স্বপ্নময় পথচলা।
এ নিয়ে দ্বিতীয় হারের তেতো স্বাদ পেল পিএসজি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে ২-১ গোলে হেরে আসর শুরু করা টমাস টুখেলের দল নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ইস্তানবুল বাসাকসেহিরের মাঠে ২-০ ব্যবধানে জিতেছিল।
বাসাকসেহিরকে ২-০ গোলে হারিয়ে প্রতিযোগিতায় দারুণ শুরু পাওয়া লাইপজিগ দ্বিতীয় ম্যাচে ইউনাইটেডের মাঠে ডুবেছিল ৫-০ ব্যবধানে হারের হতাশায়।
চোটের জন্য নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপের অনুপস্থিতিতে প্রথমার্ধে পিএসজির আক্রমণে ছিল না চেনা ধার। যদিও ষষ্ঠ মিনিটে এগিয়ে যায় গতবারের রানার্সআপরাই। মোইজে কিনের বাড়ানো বলে দলটির আক্রমণভাগের মূল ভরসা আনহেল দি মারিয়ার নিখুঁত শটে জাল খুঁজে নেন।
দুই মিনিট পর আমাদু হায়দারা পারেননি সতীর্থের ক্রস লক্ষ্যে রাখতে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সবশেষ দুই ম্যাচ হেরে আসা লাইপজিগও পারেনি সমতায় ফিরতে।
ষোড়শ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণের সুর্বণ সুযোগ নষ্ট হয় লিগ ওয়ানের চ্যাম্পিয়নদের। দি মারিয়ার স্পট কিক নিজের বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ফেরান গোলরক্ষক। ডি-বক্সে ডাওটের হাতে বল লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি।
তিন মিনিট পর সমতার স্বস্তি ফিরে লাইপজিগের তাবুতে। সতীর্থে পাস ধরে আঞ্জেলিনো ক্রস বাড়ান ডি-বক্সের একটু ওপরে থাকা ক্রিস্তোফা এনকুনকুকে। ফরাসি ফরোয়ার্ডের বুলেট গতির ঠেকাতে পারেননি কেইলর নাভাস।
দ্বিতীয়ার্ধের নবম মিনিটে পিছিয়ে পড়ে পিএসজি। বলের লাইনে ঝাঁপিয়েও এমিল ফোর্সবার্গের স্পট কিক থামাতে পারেননি নাভাস। ডি-বক্সে প্রেসনেল কিম্পেম্বের হ্যান্ডবল ভিএআর দেখে পেনাল্টি দেন রেফারি।
৬৯তম মিনিটে বড় ধাক্কা খায় পিএসজি; ইদ্রিসা গিয়ে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় তারা। পিছিয়ে পড়া লিগ ওয়ানের দলটি বাকিটা সময়ে ফিরে পায়নি হারানো ছন্দ।
তুলনায় আক্রমণ বেশি ছিল লাইপজিগের। ৮১তম মিনিটে এনকুনকু পরের মিনিট মার্সেলো সাবিৎজারের শট পারেনি ব্যবধান বাড়াতে।
দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে দি মারিয়ার ফ্রি কিক সরাসরি গোলরক্ষকের গ্লাভসে জমে গেলে হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে পিএসজি।
বুধবার অন্য ম্যাচে বাসাকসেহিরের মাঠে ২-১ গোলে হারা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তিন ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গোল পার্থক্যে শীর্ষে রয়েছে। সমান পয়েন্ট নিয়ে লাইপজিগ দ্বিতীয় স্থানে আছে।
৩ করে পয়েন্ট নিয়ে গোল পার্থক্যে পিএসজি গ্রুপে তৃতীয় ও তুরস্কের দল বাসাকসেহির চতুর্থ স্থানে রয়েছে।