বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আগামী ১৩ ও ১৭ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এ ম্যাচ দিয়ে করোনাভাইরাসের কারণে গত মার্চ থেকে বন্ধ থাকা দেশের ফুটবল মাঠে ফিরবে।
গত ২৪ অক্টোবর থেকে অনুশীলন করছে দল। লম্বা বিরতির পর অনুশীলনে নামায় শুরুতে ফিটনেস ফিরে পাওয়ার প্রতিই দেওয়া হচ্ছে বাড়তি গুরুত্ব। সোমবার নিজেদের মধ্যে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছেন জামাল-জীবন-রানারা। সহকারী কোচ ওয়াটকিসও জানালেন আরও কয়েকটা দিন এই ছকে চালিয়ে যেতে চান অনুশীলন।
“ফিটনেস লেভেলের উন্নতি হচ্ছে। তবে শতভাগ আসেনি। সামনে আরও উন্নতির সুযোগ আছে। ফিটনেসে উন্নতি করতে হলে অনুশীলনে ম্যাচ খেলার মতো কাজগুলো আরও বেশি করতে হবে। রানিং সেশন্স, জিম সেশনগুলোও চালিয়ে যেতে হবে।”
“কেননা, ম্যাচ খেললে আরও বড় পরিসরে দৌড়াতে হয়, দুরত্ব পার করতে হয়, প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল খেলার মতো ফিটনেস অল্প সময়ের মধ্যে পেতে হলে এগুলোই….রানিং, জিমের সঙ্গে ম্যাচ খেলা সেরা উপায়।”
নেপালের বিপক্ষে জাতীয় দলের সবশেষ দুই ম্যাচে হারে বাংলাদেশ। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ওই দুই ম্যাচেই ২-০ গোলে হেরেছিল দল। সবশেষ গত ডিসেম্বরে দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের দেখায় বাংলাদেশ হেরেছিল ১-০ গোলে। অতীতের ম্যাচগুলো দেখে আগামীর ছক কষতে বসার কথাও জানালেন ওয়াটকিস।
“আমি এবং জেমি নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচগুলোর বিশ্লেষণ করেছি, যদিও (করোনাভাইরাসের জন্য) ম্যাচগুলোকে সাম্প্রতিক বলা যাচ্ছে না। ওরা কেমন খেলে তার একটা সাধারণ ধারণা আমরা পেয়েছি। তিন-চার দিন পর আমরা ট্যাকটিক্যাল সেশন শুরু করব।”