করোনাভাইরাসের অনাকাঙ্ক্ষিত বিরতির পর ঠাসা সূচিতে খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা ভেবে বদলি খেলোয়াড় তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ জন করার সিদ্ধান্ত নেয় ফিফা। পরে তা অনুমোদন দেয় ফুটবলের নিয়ম তৈরির সংগঠন আইএফএবি।
পরবর্তীতে ২০২১ সালের অগাস্ট পর্যন্ত নিয়মটি রেখে দেওয়ার কথা জানায় সংস্থাটি। যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার ছেড়ে দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট প্রতিযোগিতার আয়োজকদের ওপর।
নতুন মৌসুমে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং ইউরোপের বাকি শীর্ষ চার লিগ জার্মানির বুন্ডেসলিগা, ফ্রান্সের লিগ ওয়ান, ইতালির সেরি আ ও স্পেনের লা লিগা পাঁচ বদলির নিয়ম বহাল রেখেছে। তবে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলি গত অগাস্টে এই নিয়মের বিপক্ষে ভোট দেওয়ায় আগের মতো তিন বদলির নিয়মে ফিরে যায় তারা।
ইতোমধ্যে এমন সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন গতবারের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলের কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ উলে গুনার সুলশার, চেলসি কোচ ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড, এভারটন কোচ কার্লো আনচেলত্তিসহ অনেকে।
প্রিমিয়ার লিগকে আবার পাঁচ বদলির সিদ্ধান্তে ফিরে যাওয়া উচিত কি-না এমন প্রশ্নে কাতালার এই কোচ বলেন, “নিশ্চিতভাবেই ফিরে যাওয়া উচিত।”
মৌসুমের শুরু থেকে অন্য অনেক ক্লাবের মতো সিটিকেও লড়তে হচ্ছে চোটের সঙ্গে। সের্হিও আগুয়েরো, গাব্রিয়েল জেসুস, বাঁজামাঁ মঁদি, নাথান আকেইসহ দলটির মোট পাঁচ সদস্য বর্তমানে চোটের সঙ্গে লড়ছেন।
একই কারণে আর্সেনাল ও ইউনাইটেডেরও পাঁচজন করে ফুটবলার আছেন দলের বাইরে। লিভারপুলে চোটে আক্রান্তের সংখ্যা সাত, এভারটনের নয়। সব দলের কথা বিবেচনায় নিয়েই পাঁচ বদলির সিদ্ধান্তে ফেরার আহ্বান জানালেন গুয়ার্দিওলা।
“এটা কেবল একটা ক্লাবের জন্য নয়… প্রিমিয়ার লিগে আগের মৌসুমের তুলনায় এবার ৪৭ শতাংশ পেশির চোট বেড়েছে। এটা হয়েছে অধিকাংশ দল প্রস্তুতির যথেষ্ট সময় না পাওয়ায় এবং বেশি ম্যাচ খেলার কারণে।”
“সব লিগে- জার্মানি, স্পেন, সবখানেই পাঁচ বদলির সিদ্ধান্ত নিয়েছে খেলোয়াড়দের সুরক্ষা দিতে, নির্দিষ্ট কোনো দলকে সুরক্ষা দিতে নয়।”