২০২০-২১ মৌসুমের বাজেট প্রকাশের পর সোমবার সংবাদ সম্মেলনে অনেক বিষয় নিয়ে কথা বলতে হয়েছে বার্তোমেউকে। সেখানেই উঠে আসে গত দলবদলের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়, মেসির ক্লাব ছাড়তে চাওয়ার প্রসঙ্গ। তিনি জানালেন, সবকিছু জেনে বুঝেই দলের সেরা খেলোয়াড়কে ধরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ক্লাব।
“মেসি যে রাগ করেছিল, এটা আমি বুঝতে পারি। তবে আমরা তাকে যেতে দেইনি কারণ, আমাদের সব পরিকল্পনা তাকে ঘিরেই। আমরা আশা করছি, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সে বলবে, চুক্তি নবায়ন করে এখানেই সে থাকতে চায়।”
ক্লাব ছাড়তে না পারার কারণ হিসেবে তখন বার্তোমেউকে দুষেছিলেন মেসি। অভিযোগ তুলেছিলেন, বিভিন্নভাবে প্রেসিডেন্ট তার সঙ্গে দেখা করার বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। এর কারণও জানালেন সেই থেকে সমালোচনার মুখে থাকা ক্লাব সভাপতি।
“তাকে ঘিরেই ক্লাব ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করছিল। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, এ নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসব না…সমালোচনার মুখে পড়ব জেনেও আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।”
“এখানে সে খেলা চালিয়ে যাবে কি-না, তা জানানোর একটা সময়সীমা ছিল। সেই সময়ের মধ্যে সে করেনি, তাই তাকে এখানেই থাকতে হয়েছে। আমরা সবাই চাই, সে এখান থেকেই অবসরে যাক।”
কোভিড-১৯ সঙ্কটকালে বেতন কমানো নিয়ে ফুটবলারদের অসন্তুষ্টির বিষয়টি কিছুদিন আগে সামনে এনেছিলেন দলটির অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার জেরার্দ পিকে। তবে এটিকে বেতন ‘কমানো’ নয়, কঠিন পরিস্থিতিতে ‘সামঞ্জস্য বজায় রাখা’ হিসেবে দেখেন বার্তোমেউ।
“বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে বেতন সামঞ্জস্যের ব্যাপারে আমাদের অ্যাথলেটদের প্রয়াসকে আমরা প্রশংসা করি। এটা বেতন কমানো নয়, ক্লাবের আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যতা। আমার বিশ্বাস, আলোচনার টেবিলে এটা ভালোভাবে শেষ হবে।”
মেসি-ক্লাব বিতর্ক নিয়েও বোর্ডের কড়া সমালোচনা করেছিলেন কদিন আগে দলের সঙ্গে নতুন চুক্তি করা পিকে। তবে কোনো বিষয়েই স্প্যানিশ ফুটবলারের মন্তব্য নিয়ে সবার সামনে কিছু বলতে চান না তিনি।
“আমি খুব খুশি যে সে চুক্তি নবায়ন করেছে এবং ক্লাবের আয়ের সঙ্গে বেতনের ভারসাম্য এনেছে।”
“সবার সামনে আমি খেলোয়াড়দের সঙ্গে তর্কে জড়াব না, ব্যক্তিগতভাবে কথা বলব। তাদের জন্য আমার দরজা খোলা।”