আলিয়াঞ্জ স্টেডিয়ামে রোববার রাতে পিছিয়ে পড়ার পর ঘুরে দাঁড়িয়ে ১-১ সমতায় মাঠ ছাড়ে ইউভেন্তুস। লিগে এই নিয়ে টানা দুই ও মোট তিন ম্যাচে পয়েন্ট হারাল আন্দ্রেয়া পিরলোর দল।
পাঁচ ম্যাচে দুই জয় ও তিন ড্রয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে ইউভেন্তুস। চার ম্যাচে সবকটিতে জিতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে এসি মিলান।
পাঁচ ম্যাচ খেলে সমান ১১ পয়েন্ট নিয়ে যথাক্রমে দুই ও তিন নম্বরে নাপোলি ও সাস্সুয়োলো। চার নম্বরে থাকা ইন্টার মিলানের পয়েন্ট ১০।
ম্যাচের শুরুতে আলো ছড়ানো ভেরোনা ষোড়শ মিনিটে ক্ষণিকের জন্য এগিয়ে যাওয়ার উল্লাসে মেতেছিল। জালে বল পাঠিয়েছিলেন এব্রিমা কোলে; কিন্তু অফসাইডে ছিলেন এই মিডফিল্ডার।
৬০তম মিনিটে দারুণ এক আক্রমণে এগিয়ে যায় ভেরোনা। বাঁ দিক থেকে মিডফিল্ডার মাত্তিয়ার রক্ষণচেরা পাস পেনাল্টি স্পটের কাছে পেয়ে প্রথম ছোঁয়ায় জোরালো শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড আন্দ্রেয়া ফাভিল্লি।
৭৬তম মিনিটে পাওলো দিবালার শট এক জনের পায়ে লেগে ক্রসবারে লাগলে হতাশা বাড়ে ইউভেন্তুসের। পরের মিনিটেই অবশ্য সমতায় স্বস্তি ফেরে চ্যাম্পিয়নদের শিবিরে।
একের পর এক আক্রমণের ধারাবাহিকতায় সমতা টানেন দেজান কুলুসেভস্কি। মোরাতার পাস ধরে ভেতরে ঢুকে কোনাকুনি শটে গোলটি করেন ফেদেরিকো বের্নারদেস্কির বদলি নামা তরুণ মিডফিল্ডার।
গত সপ্তাহে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দিনামো কিয়েভের মাঠে জিতলেও ইউভেন্তুসের পারফরম্যান্স ছিল না আশানুরূপ। এর আগে সেরি আয় ক্রোতোনের মাঠে পয়েন্ট হারিয়েছিল তারা। এবার নিজেদের আঙিনায় এই হোঁচট।
ভীষণ বাজে এই পরিস্থিতির মাঝেই আগামী বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শক্তিশালী বার্সেলোনার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে তুরিনের দলটি। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ওই ম্যাচে দলের সেরা তারকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে পাওয়ার তেমন আশাও নেই। এমন অবস্থায় হতাশা ঝেড়ে ফেলে কক্ষপথে ফিরতে দুর্দান্ত কিছুই করে দেখাতে হবে ইউভেন্তুসকে।