নেপালের বিপক্ষে ‘প্রতিশোধের’ লক্ষ্য সাদদের

শুরুতে ১৪ জন কোভিড-১৯ রিপোর্ট নিয়ে ক্যাম্পে যোগ দিয়েছিল। পরে যোগ হয় আরও দুই জন-রিয়াদুল হাসান ও রায়হান হাসান। ১৬ জন নিয়ে প্রথম অনুশীলন সেশন শেষে নেপাল ম্যাচ নিয়ে নিজেদের অভিমত জানালেন সাদ উদ্দিন ও রহমত মিয়া। দুজনেই প্রত্যয়ী কণ্ঠে জানালেন প্রতিশোধ নেওয়ার লক্ষ্য।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Oct 2020, 10:00 AM
Updated : 24 Oct 2020, 10:03 AM

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আগামী ১৩ ও ১৭ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। আগের দুই দেখায় নেপালের কাছে হেরেছিল দল। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে শনিবার সকালে প্রথম সেশনের অনুশীলন শেষ করে আগের ‍দুই হারের প্রতিশোধ নেওয়ার লক্ষ্য জানান সাদ।

“লক্ষ্য একটাই-সামনে ভালো করা। সামনে আমাদের জাতীয় দল এবং ক্লাবের ম্যাচ আছে। দেশকে ভালো কিছু দেওয়ার লক্ষ্য আমাদের সবার আছে। শেষ দুইটা ম্যাচে আমরা ওদের কাছে হেরেছিলাম। আমাদের লক্ষ্য প্রতিশোধ নেওয়ার। চেষ্টা করব ম্যাচগুলো জয়ের। খেলোয়াড়দের কমিটমেন্ট আছে একসঙ্গে ভালো পারফরম করার। জয়ের জন্য মাঠে নামব। চেষ্টা থাকবে নেপালকে হারানোর।”

প্রস্তুতির জন্য সপ্তাহ তিনেকের সময় পাচ্ছে বাংলাদেশ। তাছাড়া বসুন্ধরা কিংস তাদের ১৪ জন খেলোয়াড় না ছাড়ায় ক্যাম্পের শুরুর অনুশীলনে দলীয় সমন্বয়ের ঘাটতি থেকে যাচ্ছে কিছুটা। সাদও জানালেন, একসঙ্গে শুরু থেকে অনুশীলন করতে পারলে ভালো হতো।

“এত অল্প সময়ে নিজেদের ফিরে পাওয়া অনেক কঠিন। দীর্ঘ আট নয় মাস পার আমরা মাঠে ফিরেছি। এতদিন আমরা ইনডিভিজ্যুয়াল ট্রেনিং করেছি। এখন দলীয় অনুশীলন করছি। একটু সময় লাগবে আমাদের সবার আগের জায়গায় আসতে। আশা করি, আমাদের যেভাবে ট্রেনিং শিডিউল আছে, আমরা সবাই ঠিকঠাকমতো করে ইনশাল্লাহ তাড়াতাড়ি ফিট হয়ে মাঠে নামতে পারব। সবাই একসঙ্গে অনুশীলন করতে পারলে ভালো হতো। আশা করি, তারা দ্রুত আমাদের সঙ্গে যোগ দিবে।”

ফিটনেস লেভেল আগের পর্যায়ে ফিরে পাওয়ার প্রশ্নে আশাবাদী প্রথম সেশনের অনুশীলনে সবচেয়ে সপ্রতিভ থাকা ডিফেন্ডার রহমত। শুরুর অনুশীলনে ‘চাপ’ না নেওয়ার কারণ হিসেবে জানালেন লম্বা সময় পর মাঠে ফেরার কথা।

“যেহেতেু প্রথম দিন, চাপ কম দিতে বলেছিল। মূলত খেলার বেশি সময় নেই। এ মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে আমাদের সুস্থ থাকা, ফিট থাকা। এখনই যদি সবাই প্রেশার দিয়ে ইনজুরিতে পড়ে যায়, তাহলে রিকভার করার সময় পাওয়া যাবে না। তাই প্রেশার কম দিতে বলছে, যেন আমরা ধীরে ধীরে উন্নতি করতে পারি।”

“আসলে সাত-আট মাস পর যেহেতু আমরা মাঠে ফিরছি, খেলোয়াড়রা সবাই মাঠে ফিরতে উদগ্রীব হয়ে আছে। আমাদের হাতে কম সময় আছে। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি, সামনের কিছুদিন আছে, কঠোর পরিশ্রম করে ভালো কিছু করার।”

স্বল্প সময়ের প্রস্তুতি নিয়েও নেপালকে হারাতে আশাবাদী রহমত। সাইফ স্পোর্টিংয়ের এই ডিফেন্ডারের কাছে অসম্ভব বলে কিছু নেই।

“কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। যখন আমরা এশিয়ান গেমসে গিয়েছিলাম, তখন কি ভাবতে পেরেছিলাম যে, কাতারকে হারাতে পারব। অবশ্যই না। কারণ র‌্যাঙ্কিংয়ে কাতারের চেয়ে আমরা অনেক পিছিয়ে। কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। আমরা চেষ্টা করব সেরাটা দেওয়ার। ভালো ফল পাওয়ার।”