নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ সামনে রেখে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শনিবার শুরু হয়েছে জাতীয় ফুটবল দলের অনুশীলন। আগামী ১৩ ও ১৭ নভেম্বর এই মাঠেই প্রীতি ম্যাচ দুটি খেলবে দল।
করোনাভাইরাসের থাবায় গত মার্চে লিগ বন্ধ হওয়ার পর থেকে ফুটবলাররা ছিলেন খেলার বাইরে। বিশ্বকাপ বাছাই উপলক্ষে গত অগাস্টে ক্যাম্প শুরু হলেও তা বন্ধ হয়ে যায় বাছাই এ বছরের জন্য স্থগিত হয়ে যাওয়ায়।
সকালের অনুশীলনে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ট্র্যাকে রানিংয়ে রহমত মিয়া সাত ল্যাপ দিয়েছেন। বাকিরা কেউ ছয়, কেউ পাঁচ ল্যাপ শেষ করতে পেরেছেন। তবে অনুশীলন শেষে ফিটনেস নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানালেন ফুয়াদ।
“সাধারণত খেলোয়াড়রা যখন একটা লম্বা সময় খেলার বাইরে থাকে, তখন তাদেরকে আমরা একটা সেশন দিয়ে থাকি। সেটা তারা ঠিকমতো অনুসরণ করল কিনা এবং আমাদের শিডিউল অনুযায়ী ইনডিভিজ্যুয়াল অনুশীলন করেছে কিনা, সেটা কুপার টেস্টে বেরিয়ে আসে। এর মাধ্যমে আমরা খেলোয়াড়দের হার্টরেট, স্ট্যামিনা, স্পিড এগুলো আমরা দেখে ফেলি।”
নেপাল ম্যাচের প্রস্তুতি নিয়ে তিন সপ্তাহের মতো সময় পাচ্ছে দল। এটা যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন ফুয়াদ। তবে এই অল্প সময়ে ফিটনেস লেভেল আগের অবস্থায় ফিরে পাওয়া ‘অসম্ভব নয়’ বলেও মনে হচ্ছে তার।
“আমাদের জন্য খুবই শর্ট টাইম। এটা কঠিন কিন্তু অসম্ভব নয়। বিগত সময়টাতে আমরা কিন্তু তাদের একটা পর্যবেক্ষণের মধ্যে রেখেছিলাম এবং তারা টাইম টু টাইম আমাদেরকে তথ্যগুলো দিয়েছে। তারা যেভাবে অনুশীলন করেছে, আমরা সন্তুষ্ট ছিলাম।”
“একারণে আজকের অনুশীলনে আমরা যে মিনিমাম টার্গেট দিয়েছিলাম, খেলোয়াড়রা তা পূরণ করতে পেরেছে। তবে সবে মাত্র একটা ডাটা কালেক্ট করলাম, এটা দেখে পরে আমরা বলতে পারব কে কোন পর্যায়ে আছে।”