‘যুদ্ধ’ করতে হবে, ফুটবলারদের সালাউদ্দিন

লম্বা সময় খেলার বাইরে জামাল-জীবনরা। এমন সময় হুট করে নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। অল্প প্রস্তুতি নিয়ে খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার শঙ্কা, হারের ভয়ের কথা গণমাধ্যমে বলেছিলেন প্রধান কোচ জেমি ডে। তবে বাফুফে সভাপতির কাজী সালাউদ্দিনের চাওয়া হার-জিতের চিন্তা বাদ দিয়ে তার উত্তরসূরিরা মাঠে নামুক, যুদ্ধ করুক।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Oct 2020, 01:40 PM
Updated : 23 Oct 2020, 01:40 PM

ফর্টিস-বাফুফে একাডেমি পরিদর্শন করতে গিয়ে শুক্রবার নেপাল ম্যাচ নিয়ে নিজের ভাবনা জানান সালাউদ্দিন। এ মুহূর্তে মাঠে ফুটবল ফেরানো গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন সাবেক এই তারকা ফরোয়ার্ড।

“নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে দুই রকম কথা আছে। একটা হচ্ছে খেলোয়াড়রা খেলার মধ্যে নাই, আমরা হারতে পারি। খুবই যৌক্তিক কথা। ছয় মাস ধরে খেলোয়াড়রা খেলে না। একেকজন আমার মতো মোটা হয়ে গেছে, ফিটনেস নাই। হারার একটা ভয় আছে। হারলে পাবলিক……কিন্তু আমার ভাবনা ভিন্ন।”

“খেললে হার-জিত আছে। হারব, এই ভয়ে আমি যদি না খেলি, তাহলে তো ফুটবলই শুরু হবে না। তো আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, জাতীয় দল দিয়ে এই করোনাভাইরাসের মধ্যে ফুটবলটাকে মাঠে আনার। হার-জিত তো পরের কথা। খেললে হারতেও পারি, জিততেও পারি। কিন্তু হারায় ভয়ে যদি ফুটবল না খেলি, তাহলে এভাবে তো বছরের পর বছর পার করে দিতে পারব। ওটা তো লুকিয়ে থাকা। আমাকে যুদ্ধ করতে হবে। আপনারা হয়ত পছন্দ করবেন না, গালাগালি করবেন কিন্তু আমাকে তো চেষ্টা করেই যেতে হবে।”

করোনাভাইরাসের থাবায় গত মার্চ থেকে ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলা বন্ধ বাংলাদেশের। গত অগাস্টে বিশ্বকাপ বাছাই উপলক্ষে ক্যাম্প শুরু করেছিল বাফুফে। কিন্তু ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বাছাই পিছিয়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় ক্যাম্প। নেপাল ম্যাচ দিয়ে ফুটবলকে মাঠে ফেরানোকে তাই গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন সালাউদ্দিন।

“ফুটবল একটা জায়গায় এসেছিল। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আপনারা কাতারের বিপক্ষে ম্যাচ দেখেছেন, ভারতের বিপক্ষের ম্যাচ দেখেছেন। আমাদের পরিকল্পনা হচ্ছে ফুটবলকে মাঠে ফেরানোর। খেলোয়াড়দের সাহস দেওয়া যে, আমরা তোমাদের পেশাকে মাঠে আনছি।”

ফর্টিসের সঙ্গে একাডেমি নিয়ে নতুন চুক্তি করার ভাবনাও জানান সালাউদ্দিন। অর্থের সংস্থানের উপর সংস্থাটির সঙ্গে চুক্তির রূপ নির্ভর করছে বলেও জানান তিনি।

“ফর্টিসের সঙ্গে গত বছর আমরা যখন চুক্তি করেছিলাম, তখন তাদের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছিল, তারা মাঠ, থাকার জায়গা দিবে কিন্তু আমরা কোনো ভাড়া দিব না। একাডেমিটা চালু করতে আমাদের চারজন বিদেশি ও দুজন দেশি কোচ লেগেছে। প্রতিদিনের খাবার দিয়েছি। এগুলো আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিয়ে বাফুফে পূরণ করেছে। এই ৫/৬ কোটি টাকা বাফুফে যদি দিতে পারে, তাহলে তাদের সঙ্গে একধরনের চুক্তি হবে। না দিতে পারলে অন্যরকম চুক্তি হবে।”

“কিন্তু আমরা চেষ্টা করছি টাকাটা জোগাড় করতে। আমাকে আপনারা আরও ৩০ দিন সময় দেন; আমরা পরিকল্পনা শুরু করেছি। যেটা আমার নির্বচনী ইশতেহারে দেওয়া আছে, সেটার সঙ্গে যায় এমন কিছুই করব।”