নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে ক্যাম্পে ১৪ জন

নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচকে সামনে রেখে আয়োজিত ক্যাম্পে প্রথম দিন নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে ১৪ জন খেলোয়াড় যোগ দিয়েছেন। বসুন্ধরা কিংসের ১৪ জন যোগ দেবেন পরে। মোট ৩৬ জনের বাকি আট জন কোভিড-১৯ পরীক্ষায় নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়ার পর ক্যাম্পে যোগ দেবে বলে জানালেন জেমি ডের সহকারী কোচ মাসুদ পারভেজ কায়সার।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Oct 2020, 01:13 PM
Updated : 23 Oct 2020, 01:13 PM

খেলোয়াড়দের ক্যাম্পে রিপোর্টিং ছিল শুক্রবার। আরিফুর রহমান, রিয়াদুল হাসান, রাকিব হোসেন, টুটুল হোসেন বাদশা, মঞ্জুরুর রহমান মানিক, নাবীব নেওয়াজ জীবন, সাদ উদ্দিন- এই সাত জন এখনও রিপোর্ট হাতে না পাওয়ায় যোগ দেননি।

গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেল অসুস্থতার কারণে পরে যোগ দিবেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান পারভেজ। প্রধান কোচ ডে না আসা পর্যন্ত ফিটনেস ট্রেনিং চলবে বলেও জানান তিনি।

“কোভিড-১৯ পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট না থাকলে কেউই ক্যাম্পে প্রবেশ করতে পারবে না। অনেকে পরীক্ষা করিয়েছে কিন্তু রিপোর্ট হাতে পায়নি। মূলত এ কারণে আজ অনেকেই আসতে পারেনি।”

“ডে না আসা পর্যন্ত ফিটনেস ট্রেনিংয়ের দিকে বেশি দেওয়া হবে। যেহেতু করোনাভাইরাসের কারণে লম্বা সময় খেলাধুলা এবং অনুশীলনের বাইরে ছিল। আমার মনে হয় না, খেলোয়াড়দের মানসিক দিক দিয়ে শুরুতে কাজ করার দরকার হবে। কেননা, ছেলেরা খেলায় ফিরতে উদগ্রীব হয়ে আছে।”

আগামী ১৩ ও ১৭ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলবে বাংলাদেশ। ক্যাম্পে ফিরেই নেপাল ম্যাচে জয়ের লক্ষ্য জানিয়েছেন জাতীয় দলের গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা।

“লম্বা বিরতির পর ক্যাম্পে ফিরে আসলেই ভালো লাগছে। এর আগে গাজীপুরে আমরা ক্যাম্প করেছিলাম বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের জন্য কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সেটা চালিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। মাঝের সময়টাতে বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়রা ছাড়া কেউ সেভাবে অনুশীলন চালিয়ে যেতে পারেনি। আমরা যারা বাইরে ছিলাম, তারা যা একটু অনুশীলন করেছি, ব্যক্তিগতভাবেই করেছি।”

“অবশ্যই আমরা নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচে জিততে চাইব। তার জন্য যে চ্যালেঞ্জই আসুক না কেন, আমাদের তা নিতে হবে। নিতে চাই। সবাই মিলে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই, যেন দ্রুত রিকোভারি করতে পারি।”

বসুন্ধরা কিংসের চিঠির প্রেক্ষিতে শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন জানায়, গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে অনুশীলন শুরু করা কিংসের খেলোয়াড়রা গত ১৫ অক্টোবর থেকে ছুটিতে আছেন। ক্যাম্পের দলে ঠাঁই পাওয়া ১৪ জনের মধ্যে ১২ জন আগামী মঙ্গলবান ক্যাম্পে যোগ দিবে। মতিন মিয়া ও মাসুক মিয়া জনির চোট পুরোপুরি ভালো না হওয়ায় তারা বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাম্পে আপাতত যোগ দিচ্ছেন না।