কাতালুনিয়ার সবচেয়ে বড় পত্রিকা লা ভানগুয়ার্দিয়াকে শুক্রবার দেওয়া সাক্ষাৎকারে ‘বার্সাগেট’ কেলেঙ্কারি, লিওনেল মেসির ক্লাব ছাড়ার ইচ্ছা, এরনেস্তো ভালভেরদের ছাঁটাই, কোভিড-১৯ সঙ্কটে ক্লাবের কার্যকালাপসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন ৩৩ বছর বয়সী পিকে।
প্রশ্নবিদ্ধ নানা কর্মকাণ্ডের জন্য এর আগে দলীয় অধিনায়ক মেসির তীব্র সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন বার্তোমেউ। ক্লাব প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নিজের সম্পর্ককে ‘আন্তরিক’ উল্লেখ করলেও এবার তার পরিচালিত কমিটির কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করলেন পিকে।
মেসি ও পিকের মতো দলের অভিজ্ঞ, গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে বার্সেলোনা আইথ্রি নামের একটি প্রতিষ্ঠান ভাড়া করেছিল বলে গত ফেব্রুয়ারিতে অভিযোগ উঠেছিল। যা পরবর্তীতে ‘বার্সাগেট’ নামে পরিচিতি পায়। এ নিয়ে নতুন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পিকে। এর নেতৃত্বে যিনি ছিলেন সেই জাউমা মাসফেরে ক্লাবের সঙ্গে এখনও যুক্ত থাকায় প্রকাশ করলেন হতাশা।
লা লিগায় শীর্ষে থাকার পরও ২০১৯-২০ মৌসুমের মাঝপথে ছাঁটাই করা হয়েছিল ভালভেরদেকে। এরপর কিকে সেতিয়েনকে কোচ হিসেবে দায়িত্ব দেয় ক্লাব। রিয়াল মাদ্রিদের কাছে লিগ শিরোপা হারানো দলটি শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে বিদায় নেয় বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৮-২ গোলের বিশাল ব্যবধানে হেরে।
“আমার মনে হয় না, মৌসুমের মাঝপথে কোচকে ছাঁটাই করা ঠিক ছিল, আগের দুই লিগ শিরোপা জয়ের পর আমরা যখন ছিলাম টেবিলের শীর্ষে।”
সাবেক তারকাদের ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত করতে না পারাও অবাক করেছে পিকেকে।
“(পেপ) গুয়ার্দিওলা, চাভি (এরনান্দেস), (কার্লোস) পুয়েল ও (ভিক্তর) ভালদেসরা ক্লাবের সঙ্গে না থাকায় আমি বিস্মিত। আমার বিশ্বাস এই সকল ব্যক্তিদের সবসময় বার্সার সঙ্গে যুক্ত থাকা উচিত; কারণ তারা ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পৃষ্ঠাগুলো লিখেছে।”
কোভিড-১৯ পরিস্থিতিও ক্লাব ভালোভাবে সামাল দিতে পারেনি বলে মনে করেন স্প্যানিশ এই তারকা।
“ক্লাব যেভাবে এই পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে তা আদর্শ মানের চেয়ে অনেক দূরে। আমরা কেউই এ বিষয়টি নিয়ে সন্তুষ্ট নই।”
এরপরও ক্লাবের সঙ্গে নতুন চুক্তি করেছেন ২০০৮ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইডেট থেকে কাতালান দলটিতে ফেরা পিকে। নতুন চুক্তি অনুযায়ী ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত কাম্প নউয়ে থাকবেন তিনি। বললেন, ক্লাবের প্রতি ভালোবাসা থেকেই করেছেন এটি।
“বার্সা আমাকে সবকিছু দিয়েছে, তাই তাদের জন্য আমি নিজেকে সপে দিয়েছি।”