আমস্টারডামের ইয়োহান ক্রুইফ অ্যারেনায় বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ইউরোপিয়ান কাপ মিলিয়ে এই প্রথম ডাচ দলটির বিপক্ষে জিতল লিভারপুল।
এর আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে (সেই সময়ের ইউরোপিয়ান কাপ) ১৯৬৬ সালে প্রথম আয়াক্সের মুখোমুখি হয়েছিল লিভারপুল। প্রতিপক্ষের মাঠে ৫-১ গোলে হেরে আসার পর তারা নিজেদের মাঠে করেছিল ২-২ ড্র।
প্রথমার্ধে আগ্রাসী রূপে দেখা যায়নি কোনো দলকে। প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের কেউ নিতে পারছিল না তেমন পরীক্ষা। ষোড়শ মিনিটে আয়াক্সের ডিফেন্ডার লিসান্দ্রো মার্তিনেসের হেড খুঁজে পায়নি জাল। একটু পর দলটির মিডফিল্ডার রায়ান গ্রাভেনবার্চের শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।
সাদিও মানে-মোহামেদ সালাহ-রবের্তো ফিরমিনোয় গড়া শক্তিশালী আক্রমণভাগ ছিল নিজেদের ছায়া হয়ে। ফলে আগের দুই লিগ ম্যাচে অ্যাস্টন ভিলার কাছে ৭-২ গোলে হারা এবং এভারটনের বিপক্ষে ২-২ ড্র করা লিভারপুল ছিল বিবর্ণ।
৩৫তম মিনিটে নিকোলাস তাগলিয়াফিকোর আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় লিভারপুল। বাঁ দিক থেকে মানের নেওয়া শটে বিপদের লেশ মাত্র ছিল না। কিন্তু পা লাগিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে আয়াক্সের ডালে ব্লিন্ডের থ্রু পাস ধরে দুসান তাদিচের চিপ গোলরক্ষক আদ্রিয়ানের মাথার ওপর দিয়ে জালের দিকে ছুটছিল। গোললাইন থেকে দলকে বিপদমুক্ত করেন ফাবিনিয়ো।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ডাভি ক্লাসেনের ডান পায়ের শট পোস্টে লেগে ফিরলে বেঁচে যায় লিভারপুল। ৫৮তম মিনিটে তাদের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ফিরমিনোর হেড পোস্টের অনেক বাইরে দিয়ে যায়। একটু পর আয়াক্সের প্রমেসের শট ফেরান আদ্রিয়ান।
আক্রমণভাগে মলিন হয়ে থাকা সালাহ ও ফিরমিনোকে ৬০তম মিনিটে তুলে নিয়ে জেরদান শাচিরি ও দিয়োগো জোতাকে নামান লিভারপুল কোচ।
যোগ করা সময়ে সমতায় ফেরার শেষ সুযোগটি হারায় আয়াক্স। তাগলিয়াফিকোর ক্রস ঠিকঠাক গ্লাভসে জমাতে পারেননি আদ্রিয়ান; বল চলে যায় ইয়ুর্গেন একেলেনকাম্পের কাছে। উড়িয়ে মারেন এই ডাচ মিডফিল্ডার।
গ্রুপের আরেক ম্যাচে মিতউইলানের মাঠে ৪-০ গোলে জিতেছে গতবারের কোয়ার্টার-ফাইনালিস্ট আতালান্তা।